পুরো ভারতে (India) ৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত করছিল। সেই উপলক্ষে জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে অস্তিত্ব লাভ করেছে। বুধবার রাতেই জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা মুছে দেওয়া হয়েছে। সাথে সাথে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামের দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল অস্তিত পেয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ বিলুপ্তির পর এখন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। এই ঘটনাকে ভারতের ঐতিহাসিক ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামের কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হওয়ার পর যে ১০ টি বড়ো পরিবর্তন হয়েছে তা দেখার বিষয়।
এতদিন জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপাল নিযুক্ত থাকতো এবার দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে উপ রাজ্যপাল নিযুক্ত থাকবেন। জম্মু-কাশ্মীরে গিরিশচন্দ্র মুর্মু ও লাদাখে রাধা কৃষ্ণ মাথুরকে নিয়োগ করা হবে। এতদিন যেটা একটা রাজ্যে হিসেবে পরিচিত পেত সেই স্থান এবার দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য পূর্নগঠন আইন অনুযায়ী, লাদাখ এবার বিনা বিধাসভা কেন্দ্রশাসির অঞ্চল ও জম্মু-কাশ্মীর বিধাসভা যুক্ত কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। রাজ্যে কেন্দ্র এর আইন লাগু হতো না, এবার কমপক্ষে ১০৬ টি কেন্দ্রীয় কানুন লাগু হবে।
এর মধ্যে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, তথ্য অধিকার আইন, শত্রু সম্পত্তি আইন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির পাশাপাশি জনসম্পত্তির ক্ষতি রোধ করার আইন অন্তর্ভুক্ত। জম্মু-কাশ্মীরে 35A থাকার ফলে একমাত্র রাজ্যের মানুষ সেখানের চাকরি করতে পেত। এবার সেটার পরিবর্তনের সাথে সাথে জমির সাথে সম্পর্কিত ৭ টি আইন পরিবর্তন হবে।
রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুসারে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় ১৫৩ টি আইন বাতিল করা হবে যা রাজ্য পর্যায়ে প্রণীত হয়েছিল। তবে উভয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখনও ১৬৬ টি আইন কার্যকর থাকবে। রাজ্যপূর্নগঠন আইনের সাথে সাথে বিধানসভার কার্যকাল ৬ বছরের জায়গায় অন্যান্য রাজ্যের মতো ৫ বছর হবে। জম্মু-কাশ্মীরে ৭ টি বিধানসভা বাড়ানোর কাজও হতে পারে।