বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজনীতির ল্যাবরেটরীতে 370 ধারা আজ আর নেই। কাশ্মীর মানেই আপেল, শাল কাশ্মীর মানেই ভূস্বর্গের হাতছানি, কিন্তু সেই কাশ্মীরে একসময় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতাড়িত হতে হয়েছিল। আজ মোদী যখন দ্বিতীয়বার আমেরিকা সফরে গিয়েছেন তখন জনস্রোতের জনপ্লাবনে ভাসছে প্রবাসী ভারতীয়রা আন্তর্জাতিক স্তরে কাশ্মীরকে বিপন্ন ভূমি করে তুলতে প্রতিবেশী দেশ বিরামহীন চেষ্টা করে চলেছে।
আবার নয়াদিল্লির প্রয়াস সেদিকে বানচাল করবার জন্য সর্বদা ব্যস্ত পাকিস্তান।
আমেরিকায় পৌঁছে হস্টনে মদি দেখা করেন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে নমস্তে সারদাদেবী শ্লোক করেন প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের এক প্রতিনিধি সুরিন্দর কৌল। তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন যে কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা অনেক কষ্ট করেছেন। এখন আমরা সবাই একসাথে নতুন কাশ্মীর তৈরি করব। আমাদের যুব সমাজ নতুন কাশ্মীর তৈরির জন্য প্রস্তুত। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে একটা মেমোরেন্ডাম দিয়েছি। খুব খুশি মনে তিনি তা গ্রহণ করেছেন।”
একদিকে মোদির জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে চাপে রাখার কৌশল দুটোই যখন আন্তর্জাতিক স্তরে বিশেষ মাত্রা পেয়েছে তখন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের এমন আতিথেয়তা এবং জড়িয়ে ধরে হাতে চুম্বন এক বিশেষ মাত্রা যোগায়।
সত্যি কথা বলতে এসবের সঠিক বিশ্লেষণ এই মুহূর্তে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক তবে তথাকথিত সন্তুষ্টি করন নীতি ও রাজনৈতিক স্বার্থ ভোটের অংক এর পিছনে কাজ করছে কিনা এ নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে।