CAB বিল এখন আইনে পরিণত হয়েছে তবে এটা নিয়ে দেশে যে বিতর্ক চলছে তা থামার নাম নিচ্ছে না। অনেকে বলেছে যে CAB তে ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করা হচ্ছে। দাবি করা হয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত মুসলিমদেরও ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার হোক। CAB তে পাকিস্তান , বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ, জৈন, খ্রিষ্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ যারা ধার্মিক কারণে এই ইসলামিক দেশগুলিতে নিপীড়িত শোষিত তারা ভারতে নাগরিকত্ব পাবেন। নাগরিকত্ব আইন এর বিরুদ্ধে এখন দেশের নানা জায়গায় কট্টরপন্থীরা বিরোধ দেখাতে শুরু করেছে।
তবে দেশের বেশিরভাগ জনতা এই আইনের সমর্থন করেছে। কাশ্মীরি পন্ডিতরাও বিলের সমর্থনে সামনে এসেছে। কাশ্মীরি পন্ডিতদের সবথেকে বড়ো সংগঠন। তারা বলেছেন আমরা CAA এর সমর্থন করি এবং পুরো দেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে আছে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের পর দিল্লী ও উত্তরপ্রদেশে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টায় নেমেছিল কট্টরপন্থীরা।
পশ্চিমবঙ্গে লুঙ্গি বাহিনী গত কয়েকদিন ধরে বেশ উৎপাত চালিয়েছে। প্রায় ১০০ কোটি টাকার রেলের সম্পত্তি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই উৎপাত উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লীতে করার জন্য রাস্তায় নেমেছিল কট্টরপন্থীরা। তবে দিল্লী পুলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অন্তর্গত ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে কাজ করে এটা সম্ভবত ভুলে গেছিল উৎপাতকারীরা।
After seeing this scene, it is understood that why the Modi government has brought #CAA2019 and has taken a very good decision.#IsupportCAB2019 #ISupportCAB pic.twitter.com/AJtXWAm7y2
— धवल राणा (@Dhaval_KD) December 16, 2019
দিল্লীতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্ররাও CAB বিল নিয়ে বিরোধিতা করতে নেমে ছিল, পুলিশ ওই ছাত্রদেরও কড়া হাতে দমন করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানও ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে নাক গলাতে শুরু করে দিয়েছে। পাকিস্তানের রেল মন্ত্রী বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিটলার।
ইমরান খানের মন্ত্রী আরও বলেছিলেন – কাশ্মীর ও ভারতে মুসলমানদের সাথে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব।মোদী সরকারের পদক্ষেপগুলি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মতপার্থক্য বাড়িয়ে তুলবে যা যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিন দিন আগে (বুধবার) রশিদ বলেছিলেন যে যুদ্ধটি কেবল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেই হবে না, পুরো উপমহাদেশ এর সাথে জড়িত থাকবে।