বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিয়ে নিয়ে কমবেশি স্বপ্ন থাকে সবার। কেনাকাটা, সাজসজ্জা, খাওয়া-দাওয়া, বিয়ের জন্য অনেকেই দুহাতে খরচ করেন টাকা। তবে নিজের বিয়ের জন্য জমানো টাকায় পশুদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স কিনে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন এক তরুণী। কস্তুরী বল্লাল (Kasturi Ballal) ছত্রিশগড়ের রায়পুরের বাসিন্দা। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এই তরুণীর ছোট থেকে মন কাঁদত অসহায় পশুদের জন্য।
কস্তুরী বল্লালের (Kasturi Ballal) বেনজির কীর্তি
ইচ্ছে ছিল অসহায় এই প্রাণীগুলির জন্য কিছু একটা করার। তারপর নিজের তাগিদেই কস্তুরী শুরু করে দেন সেই কাজ। এখনো পর্যন্ত কস্তুরী (Kasturi Ballal) প্রাণ রক্ষা করেছেন প্রায় ৮ হাজার অসহায় পশুর। দু বছর ধরে অসহায় পশুদের থাকার জায়গা খুঁজছিলেন কস্তুরী। ঝড়-জলে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়ার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছেন শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
কিন্তু কস্তুরীর (Kasturi Ballal) ডাকে সেভাবে কেউ সারাই দেননি। অবশেষে এই তরুণী ইঞ্জিনিয়ার নিজের বাড়িতেই অসহায় কুকুরদের জন্য তৈরি করে ফেলেন শেল্টার। এমনকি পশুদের দেখাশোনা করার জন্য কস্তুরী প্রত্যাখ্যান করেন নামি সংস্থার কাজের অফারও। বিয়ের জন্য জমানো টাকা দিয়ে কিনে ফেলেন কুকুরদের জন্য ডগ অ্যাম্বুলেন্স (Dog Ambulance)।
আরোও পড়ুন : পুরো কেরিয়ারে যা হয়নি ২০২৪ সালে সেটাই করলেন বিরাট! অনুরাগীরা হলেন হতাশ
অসুস্থ, আহত, পরিত্যক্ত এবং গৃহহীন প্রাণীদের উদ্ধারের জন্য কস্তুরী তৈরি করে ফেলেছেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কোনও সরকারি অনুদান ছাড়াই স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এখনো পর্যন্ত কস্তুরী রায়পুরের রাস্তা থেকে উদ্ধার করেছেন ২৫০০ অসহায়, অসুস্থ কুকুর, পরিত্যক্ত পোষা কুকুর, পাখি, গরু, সাপ, বানর, প্যারাকিট সহ একধিক প্রাণীকে।
এই সংস্থা যা আয় করে তার পুরোটাই যায় অসহায় প্রাণীদের কল্যাণে। এই সংস্থা মাঝেমধ্যেই আয়োজন করে কুকুরছানা দত্তক শিবির। এছাড়াও কস্তুরী ও তাঁর সংস্থা ‘মিশন জিরো’ নামক একটি সচেতনতা প্রচারও চালিয়ে থাকে। এই প্রচার অভিযানের মাধ্যমে রাস্তায় জিরো অ্যানিমেলস, জিরো হাংরি অ্যানিমেলস এবং জিরো ডগ বাইটের মতো লক্ষ্যমাত্রা পূরণই লক্ষ্য তাঁদের।