বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাসপাতালে বিরিয়ানির বিল বাবদ খরচ তিন লক্ষ টাকা, আবার আবার অন্যদিকে চারা গাছ লাগানোর জন্য দু লক্ষ টাকা! প্রথমবার শুনে হয়তো আপনার বিশ্বাস নাও করতে পারেন, তবে কাটোয়া হাসপাতাল থেকে বর্তমানে এহেন ঘটনার অভিযোগ উঠে এসেছে। বিরিয়ানি, চারাগাছ, ঔষধ এবং আসবাবপত্র বাবদ প্রায় এক কোটি টাকার বিল তোলা হয়েছে বলে খবর। এই খবর সামনে আসতে তোলপাড় হয়ে পড়েছে সর্বত্র এবং সমস্যার সমাধান তো দূরের কথা, বরং একে অপরের দিকে অভিযোগের তির ঘোরানো শুরু হয়ে গিয়েছে।
বহুদিন ধরেই হাসপাতালে এহেন ভুয়ো নথি জমা করা হয় বলে অভিযোগ। তবে সম্প্রতি সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ বিলের হিসেব সামনে উঠে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খাওয়া, ঔষধ কিংবা আসবাব বাবদ এত টাকা গরমিলের চিত্র কি করে কারোর নজরে আসলোনা, তা ভেবে সন্দিহান হয়ে পড়েছে সকলে।
সূত্রের খবর, ঘটনাটি সামনে আসার পরে রোগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে একটি বৈঠক করা হয় এবং সেই বৈঠকে অভিযুক্ত ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন সকলে, যদিও এর পরেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। একে অপরের দিকে অভিযোগ ছুঁড়ে দিতে থাকে সকল পক্ষ! হাসপাতালের এক ঠিকাদার পুষ্পেন্দু মাঝি বলেন, “করোনা চলাকালীন হাসপাতলে ডাক্তার, রোগী এবং অন্যান্য সকল মানুষের জন্য আমি খাবার সরবরাহ করেছিলাম। তবে সেই সংক্রান্ত বিল যদি ভুয়ো হয়, তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমেই সেটি দেখলো না কেন? তারা প্রথমে এতে আপত্তি জানাতে পারত।”
এরপরেই তার পাল্টা দিয়ে হাসপাতালে সুপার বলেন, “আমি কাটোয়া হাসপাতালে নতুন এসেছি। সদ্যই এই গন্ডগোল আমার চোখে পড়ে এবং তারপরেই রোগী কল্যাণ সমিতিকে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে জানাই আমি।” পুরো ঘটনায় বর্তমানে শাসকদলের মুখ পুড়েছে। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে এদিন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, “আমার কাছে সম্প্রতি একটি খবর উঠে এসেছে, যেখানে হাসপাতালে বিরিয়ানির বিল বাবদ 3 লক্ষ টাকার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে আরো কিছু ক্ষেত্র মিলিয়ে মোট এক কোটি টাকার কাছাকাছি কারচুপি করা হয়েছে। আমরা পুরো ঘটনাটির দিকে নজর রেখে চলেছি। আইন অনুযায়ী এই ঘটনার পেছনে যারা অভিযুক্ত রয়েছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।”