বাংলাহান্ট ডেস্ক: আদৃত রায় (Adrit Roy) এবং কৌশাম্বী চক্রবর্তীর (Kaushambi Chakraborty) প্রেম এখন টেলিপাড়ার ওপেন সিক্রেট। ছোটপর্দার অনেক দিনের পুরনো সদস্য কৌশাম্বী। অন্যদিকে এতদিন বড়পর্দাতেই কাজ করেছেন আদৃত। ‘মিঠাই’ সিরিয়ালে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই প্রেম দুজনের। এতদিন যাও বা বিষয়টা গুঞ্জনের পর্যায়ে ছিল, সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানে কৌশাম্বী আসার পর সেই সন্দেহটুকুও আর থাকল না।
সম্প্রতি শেষ হয়েছে মিঠাইয়ের শুটিং। ইতিমধ্যেই নতুন সিরিয়াল ‘ফুলকি’র শুটিং শুরু করে দিয়েছেন কৌশাম্বী। এই সিরিয়ালেও একটি পার্শ্ব চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। নতুন সফর শুরুর আগে দিদি নাম্বার ওয়ানে খেলতে এসেছিলেন তিনি। আর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে পড়তেই একে একে বেরোলো সব হাঁড়ির খবর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যানেলের তরফে আগেই একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিল। সেখানে কৌশাম্বীকে লাজুক মুখে বলতে শোনা গিয়েছিল, আরো ভাল ভাল চরিত্রে অভিনয় করতে চান তিনি। সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনটাও গুছিয়ে নিতে চান। রচনা জিজ্ঞাসা করেন, তেমন মানুষ আছে কেউ?
এরপরেই মিঠাইয়ের কিছু দৃশ্য পরপর দেখানো হয় যেখানে প্রতিটিতেই রয়েছেন সিদ্ধার্থ ওরফে আদৃত। আর তারপরেই কৌশাম্বীর অর্থপূর্ণ হাসি দেখে কারোর বুঝতে কিছুই বাকি থাকে না। শোতে মজার ছলে অভিনেত্রীকে রচনা জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমরা তো অনেক কিছুই শুনছি। আমার তো করলা খেতে ভাল লাগে। তোমার কি খেতে ভাল লাগে উচ্ছে?’
কৌশাম্বী উত্তর দেন, ‘আমার উচ্ছে খেতে ভাল লাগে। আমি তেতো খাই’। মিঠাইয়ের দর্শকরা খুব ভাল ভাবেই জানেন, সিদ্ধার্থকে উচ্ছে বাবু বলেই ডাকে মিঠাই। তাই আদৃতের কথাই যে ঘুরিয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন রচনা তা বুঝতে বাকি থাকেনি দর্শকদের। আর তারপরেই সঞ্চালিকা সরাসরি প্রশ্ন করেন, সম্পর্কের কথাটা কি বাড়িতে জানিয়েছেন কৌশাম্বী?
উত্তরে পর্দার নন্দা বলেন, তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়া একটা বড় ব্যাপার। একটু সময় লাগছে তাঁর। তবে তিনি নিশ্চিত যে ভবিষ্যতে যা হবে ভালোই হবে। এরপরে আর দর্শকদের কোনো সন্দেহ নেই যে তলে তলে আদৃত কৌশাম্বী বেশ চুটিয়েই প্রেম করছেন।