বাংলাহান্ট ডেস্ক: দূর্গাপুজো, কালীপুজোর শেষে ফের একবার নারীশক্তির উদযাপন ‘সুপার সিঙ্গার থ্রি’ এর মঞ্চে। কৌশিকী চক্রবর্তী (kaushiki chakraborty) ও তাঁর ‘সখী’দের অনবদ্য পারফরম্যান্সে জমজমাট ‘মেহফিল’ তৈরি হল রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে। গান বাজনা নাচে জমে গেল সান্ধ্য আসর।
‘সুপার সিঙ্গার থ্রি’তে বিচারকের আসনে রয়েছেন কৌশিকী। কিন্তু এদিন তিনি একা নন, নিজের মহিলা ব্যান্ড ‘সখী’কে নিয়ে পারফর্ম করলেন মঞ্চে। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে কৌশিকীর দক্ষ ক্লাসিকাল গান মুগ্ধ করেছে অন্য বিচারকদের। মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন কৌশিকী মহিলাদের প্রতি সমাজের অবিচারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান।
গায়িকা বলেন, ভারতীয় সংষ্কৃতিতে মেয়েদের দেবী রূপে পুজো করা হয়। কিন্তু এখনো মেয়েদের চাকরি করতে গেলে অনুমতি নিতে হয়। টাকা খরচ করতে হলে অনুমতি নিতে হয়। এমনকি কন্যা সন্তানকে স্কুলে পড়ানোর আগেও অনেক ভাবনা চিন্তা, পরামর্শ করা হয়। তাই কৌশিকীর ব্যান্ড ‘সখী’ সকল মানুষেথ মধ্যে থাকা নারীসত্ত্বার উদযাপন করে। গায়িকা বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন পুরুষদেথ মধ্যে মাতৃসত্ত্বা রয়েছে। সেটাকেই সেলিব্রেট করে সখী।
ভারতের প্রথম রাগাশ্রয়ী মহিলা ব্যান্ড হল ‘সখী’। ক্লাসিকাল ও যন্ত্রানুসঙ্গীত নিয়ে গবেষণা ও পারফরম্যান্স করে এই ব্যান্ড। ২০১৫ তে কৌশিকীর চিন্তা প্রাণ পেয়েছিল ‘সখী’ রূপে। ওস্তাদ জাকির হোসেনকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন গায়িকা। বাবা পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীকেও নিজের এই উদ্যোগে পাশে পেয়েছিলেন কৌশিকী।
https://www.instagram.com/tv/CV92B6thIIO/?utm_medium=copy_link
কিছুদিন আগেই সুপার সিঙ্গারের মঞ্চে সঞ্চালক যিশু সেনগুপ্তকে ভাইফোঁটা দিয়েছিলেন কৌশিকী। চ্যানেলের তরফে শেয়ার করা প্রোমোতে দেখা গিয়েছে, একে একে প্রতিযোগীদের ডাকছেন কৌশিকী। মঞ্চের চতুর্দিকে তাদের দাঁড় করিয়েছেন রক্ষী হিসেবে। ঠিক তখনি একজন আরতির থালা হাতে প্রবেশ করে মঞ্চে। আর তা দেখেই মুখ চোখ কাঁদো কাঁদো যিশুর।
ওদিকে বিচারকের আসন থেকে তখন গান ধরেন সোনু নিগম, ‘বহেনো নে ভাই কি কলাই পে পেয়ার বাঁধা হ্যায়’। ওই পরিস্থিতিতেও যিশুর প্রতিবাদ ওটা রাখির গান। কিন্তু শেষমেষ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন যিশু। প্রতিযোগীদের সঙ্গে ভাইফোঁটার ছড়া বলতে বলতে যিশুকে আরতি করেন কৌশিকী। কপালে ফোঁটা দেন। যিশুর মুখ দেখে হেসে লুটোপুটি খেয়েছেন কুমার শানু, সোনু নিগম, মোনালি ঠাকুররা।