বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে রেল। এই রেলের মাধ্যমে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। সম্প্রতি উড়িষ্যার বালেশ্বর এর কাছে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। এই দুর্ঘটনার তদন্ত হস্তান্তর করা হয়েছে সিবিআই এর হাতে। কিন্তু ট্রেনে সফররত যাত্রীদেরও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এই নিয়ম না মানলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের।
কলকাতা, হাওড়া, শিয়ালদার মতো ব্যস্ততম স্টেশনগুলি আসে পূর্ব রেলের আওতায়। এই ব্যস্ততম স্টেশনগুলি থেকে সৃষ্টি হয়েছে আরও বেশ কিছু শাখা স্টেশনের। শিয়ালদার অন্তর্গত বনগাঁ শাখা, হাসনাবাদ শাখায় প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। তবে প্রায় প্রতিদিন অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন যে সিটে রুমাল, বোতল ইত্যাদি জিনিস রেখে জবরদখল করা হয় সিট।
পরিচিত সহযাত্রীর জন্য অনেক যাত্রী ট্রেনের সিটের মধ্যে রুমাল, বোতল, কাগজ ইত্যাদি জিনিস দিয়ে সিট আটকে রাখেন। এর ফলে অনেক যাত্রী আগেভাগে ট্রেনের মধ্যে ঢুকে পড়লেও তারা সিটে বসার সুবিধা পান না। অনেক সময় দেখা যায় একটি বা দুটি স্টেশনের আগেই অনেকে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সিট আটকে রাখেন। সেই নিয়ে বহুক্ষেত্রে বিবাদও দেখা যায়।
শিয়ালদা ডিভিশনে রেলের জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, “কোনও রকম জিনিস রেখে সিট আটকে রাখা মোটেই রেকগনাইজড নয়। এই বিষয়গুলি আটকানোর জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে বলা হয় পূর্ব রেল আরপিএফ টিম ও টিকিট চেকিং টিমকে। লোকাল ট্রেনের সিট আটকে রাখা আইনত অপরাধ। এর ফলে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় ভারতীয় রেলের আইন অনুযায়ী।”