‘করোনা নিয়েই চলতে হবে’, দিল্লিতে লকডাউন তুলে দেওয়ার অনুরোধ কেজরিওয়ালের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১২২। মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। এতদিন লকডাউন তোলার বিরোধিতা করে এলেও এবার নিজেই লকডাউন তোলার পক্ষে সওয়াল করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। জানালেন, দিল্লিতে এবার লকডাউন তোলার সময় হয়েছে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে দিল্লিবাসীকে।  এত দ্রুত করোনার হাত থেকে মুক্তি নেই। করোনাকে নিয়ে বাঁচতে হবে। এটা স্পষ্ট বুঝেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ। তাই কেন্দ্রের বিরোধিতা করে এই প্রথম লকডাউন তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী।

corona 2004110303 20200412014705

এখনও দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই লকডাউনের দ্বিতীয় পর্ব শেষের দিনে কিছুটা প্রধানমন্ত্রীর বিরোধী সুরে লকডাউনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “দিল্লি সরকার লকডাউন তুলতে তৈরি। তবে এমতাবস্থায় আমাদের করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে।” দিল্লির কন্টেনমেন্ট জোন (Containment Zone) সিল রেখে বাকি দিল্লিকে গ্রিন করে দেওয়ারও জন্য কেন্দ্রকে দাবি জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি আরও বলেন, “জোড়-বিজোড় নীতিতে এই রাজ্যে দোকান খোলা যেতে পারে। এমনকি লকডাউন পুরো তুলে নেওয়ার পরেও যদি কিছু সংক্রমণ হয়, তা ভালভাবে সামলাতে আমরা তৈরি।” কেন্দ্রের কাছে লকডাউন তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে কেজরিওয়ালের আবেদন, “মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে এখনও সফল দিল্লি। এখানে প্রচুর পরিমানে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরবর্তী করোনা পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লি প্রস্তুত।” তবে করোনা আবহে রাজ্যে একাধিক বিষয়ে শিথিলতা জারি করেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, “বর্তমানে গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। কিন্তু প্রাইভেট দু’চাকা, চারচাকার গাড়ি চলতে পারে। দু’চাকার গাড়িতে একজন ও চারচাকার গাড়িতে দু’জনের বেশি থাকবেন না। বেসরকারি অফিসও খোলা যাবে। তবে ৩৩ শতাংশের বেশি কর্মচারী যেন একসঙ্গে না থাকেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই বেসরকারি অফিসের মধ্যে আইটি সেক্টর ও ই-কমার্স সংস্থাগুলিকেও হিসেব করা হয়েছে। জরুরী পরিষেবাগুলিতে একশ শতাংশ উপস্থিতি রাখতেই হবে।”

Coronavirus slider

কেন্দ্রের কাছে লকডাউন তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে কেজরিওয়ালের আবেদন, “মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে এখনও সফল দিল্লি। এখানে প্রচুর পরিমানে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরবর্তী করোনা পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লি প্রস্তুত।” তবে করোনা আবহে রাজ্যে একাধিক বিষয়ে শিথিলতা জারি করেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, “বর্তমানে গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। কিন্তু প্রাইভেট দু’চাকা, চারচাকার গাড়ি চলতে পারে। দু’চাকার গাড়িতে একজন ও চারচাকার গাড়িতে দু’জনের বেশি থাকবেন না। বেসরকারি অফিসও খোলা যাবে। তবে ৩৩ শতাংশের বেশি কর্মচারী যেন একসঙ্গে না থাকেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই বেসরকারি অফিসের মধ্যে আইটি সেক্টর ও ই-কমার্স সংস্থাগুলিকেও হিসেব করা হয়েছে। জরুরী পরিষেবাগুলিতে একশ শতাংশ উপস্থিতি রাখতেই হবে।”

coronavirus testing everlywell

আগামীকাল থেকে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন শুরু হচ্ছে দেশে। আপাতত ১৭ মে পর্যন্ত করা হয়েছে এই লকডাউনের মেয়াদ। অবশ্য রেড জোন ও কন্টেইনমেন্ট জোন বাদ দিয়ে বাকি জায়গায় কিছু পরিষেবা শুরু করা হয়েছে। সেই পরিষেবা আরও কিছুটা বাড়ানোর আবেদন জানালেন কেজরিওয়াল।


সম্পর্কিত খবর