বাংলা হান্ট ডেস্ক : হ্যাঁ সত্যিই হয়তো প্রেমের কোনও বয়স হয় না, যে কোনও বয়সে যে যাঁকে ভাল লাগে বা ভালো বাসে তার প্রেমে পড়ে যান যদিও সে ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না। তরুণ তরুণীদের বয়সে হাত ধরে সিনেমা দেখা কিংবা ভিক্টোরিয়ায় বাদাম ভাজা খাওয়া এসব ছাড়াও যে পার্থক্য বয়সেও প্রেমের প্রয়োজন আছে তার প্রমাণ মিলল আরও একবার। তাই তো বয়সের তোয়াক্কা না করেই ষাটোর্ধ্ব দুই ব্যক্তি কোচিয়ান ও লক্ষ্মী সাত পাকে বাঁধা পড়লেন।
বৃদ্ধাশ্রম ছিল শেষ ঠিকানা, কিন্তু এই বৃদ্ধাশ্রম থেকেই আবার নতুন জীবন শুরু করার আস্বাদ পেয়েছিলেন ত্রিশূরের 67 বছর বয়সী কোচিয়ান ও 65 বছর বয়সী লক্ষ্মী। তাই তো ষাটোর্ধ্ব হয়েও বয়সকে বালাই ষাট বলে অন্য বসন্তের দিকে পা বাড়ালেন এই যুগল। ঠিকানা ছিল ত্রিশূরের সরকারি বৃদ্ধাশ্রম রামগড় গভর্মেন্ট ওল্ড এইজ হোম। সেখানেই শনিবার রাজ্যের মন্ত্রী জেলাশাসক স্থানীয় মেয়র ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন কোচিয়ান ও লক্ষ্মী।
তবে আলাপ কী ভাবে? লক্ষ্মীর স্বামী একজন চাকুরিজীবী ছিলেন তাঁর স্বামীর সহকারী ছিলেন এই কোরিয়ান। তাই তো দুজনের সঙ্গে দুজনের আলাপ দীর্ঘদিনের কিন্তু লক্ষ্মীর স্বামী মারা যাবার পর অবসাদে ভুগতে থাকে সে আর তাই তো বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে ফ্যারিস্তা হয়ে এগিয়ে আসেন কোচিয়ান। সে তো একুশ বছর আগের কথা কিন্তু মাঝে দূরত্ব বেড়ে যায় দুজনের মধ্যে, তবে কথায় আছে পৃথিবীটা গোল তাই দেখা একবার না একবার কারো সাথে হয়
তাই তো দীর্ঘদিন পর যখন ওই বৃদ্ধাশ্রমে এসে উপস্থিত হলেন কোচিয়ান ঠিক সেখানেই দেখতে পেলেন লক্ষ্মীকে। দুজন দুজনকে দেখে একেবারে আপ্লুত, তার পর সতীর্থদের ইচ্ছা ও উপস্থিতিতে কাছাকাছি আসা এবং শেষ অবধি বিয়ের সিদ্ধান্ত। যা একেবারে নজিরবিহীন থেকেও বেশি কিছু।