বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হিজাব (Hijab Controversy) নিয়ে ভারতে বিতর্ক বেড়েই চলছেই। সোমবার থেকে কর্ণাটক হাইকোর্টে এই বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। এ সময় কেরলের (Kerala) রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান (Arif Mohammad Khan) হিজাব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন।
আরিফ মহম্মদ খান বলেন, কিছু লোক যারা হিজাবের নামে বিতর্ক করছেন তারা বারবার শরিয়তের দোহাই দিচ্ছেন। যদি শরিয়ত মেনে চলতে হয়, তাহলে একজন মুসলিমের এমন দেশে বসবাসও করা উচিত নয় যেখানে শরিয়ত প্রযোজ্য নয়। ইসলামে নারীর কণ্ঠস্বরের উপরেও পর্দার বিধি রয়েছে। শরিয়ত আরও বলেছে যে, একজন মেয়ের জনসমক্ষে তার আওয়াজ তোলার অধিকার নেই। তদনুসারে, কর্ণাটকের স্কুলে যে মেয়েটি আল্লাহ হু আকবর স্লোগান দিয়েছে তাও ভুল। যদি শরিয়ত মেনে চলতেই হয়, তাহলে তা পূর্ণভাবে অনুসরণ কর নতুবা ছেড়ে দাও।
একটি নিউজ চ্যানেলের সঙ্গে আলাপচারিতায় আরিফ মহম্মদ খান বলেন, ইসলাম তার বইয়ে বলেছে যে ইসলামে হিজাব আবশ্যক নয়। তাই শিখদের চুল, বালা, তলোয়ারকে হিজাবের সাথে তুলনা করা যায় না। তিনি বলেন, দেশে তিন তালাক আইনের অবসানে অনেকেই ক্ষুব্ধ। এজন্য এ ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
কেরলের রাজ্যপাল বলেন, ‘কেন আমরা দেখছি না মুসলিম মেয়েরা শিক্ষা পাচ্ছে কি না। কত মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে? কত মেয়ে আইএএস-আইপিএস এবং সরকারি চাকরিতে নির্বাচিত হচ্ছে। ভারতের জনসংখ্যা প্রায় 1.25 বিলিয়ন। এমতাবস্থায় প্রতিবাদী কয়েকজন নারীর দিকে ক্যামেরা ঘুরিয়ে বলা যায় না এটা সবার কণ্ঠস্বর।”
আরিফ মহম্মদ খান হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসির বক্তব্যেরও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যেখানে ওয়াইসি বলেছিলেন একদিন একজন হিজাবি মহিলা দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি বলেন, এসবই উস্কানিমূলক কাজ। দেশের জনগণ যাকে নির্বাচিত করবেন তিনিই হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।