বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিত্তশালী হতে মানুষ কি কি না করতে পারে! কিন্তু তাই বলে জল জানতো দুটো মানুষকে খুন করে তাদের মাংস কি খেয়ে নেওয়া যায়? এরকমই একটি নৃশংস মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে কেরালার তিরুবনন্তপুরমে। মূল অভিযুক্ত দুই দম্পতি সহ সমস্ত ঘটনার নেপথ্যে যে ছিল তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফেনীর সমস্যা ঘটনার নেপথ্যে যে মূল মাথা তিনি হলেন শফি নামের এক ব্যক্তি যাকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে কেরলের পুলিশ। নড়বলে দিয়ে তাদের মাংস খাওয়ার অভিযোগে দম্পতি ভগবান সিংহ এবং লায়লা কেও জেল হেফাজতে রেখেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছর জুন মাসে এরনাকুলাম থেকে অপহরণ করে রোজালিন নামক এক মহিলাকে শফি নিয়ে আসেন সিংহ বাড়িতে। অপহরণ করার পর তাকে সেখানেই দীর্ঘদিনের জন্য আটকে রাখা হয়। চলতি বছরেই জুন মাসের পরে আবারো সেপ্টেম্বর মাসে আরো এক মহিলা কে অপহরণ করে সিংহ বাড়িতে এনে তোলেন শফি। এই মহিলার নাম ছিল পদ্মা।
তারপর তাদেরকে জোর করা হয় পর্নোগ্রাফিক্স সিনেমা করার জন্য। তাদেরকে প্রচুর টাকা-পয়সার লোভও দেখানো হয় কিন্তু তাতে কোন ফল হয়নি। দুই মহিলাই অরাজি হন। তখন শফি সিংহ পরিবারের দম্পতি দুজনকে প্রচুর টাকা-পয়সার লোভ দেখায়। এবং তাদেরকে বলে বৃত্তশালী হতে গেলে নরবলি দিয়ে তাদের মাংস খেতে হবে। এবং সুখের কথা অনুসারে সেই দুই দম্পতি এ নৃশংস কাজটি করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রথমে দুই মহিলাকে গলা টিপে খুন করা হয় এবং তারপর তাদের স্তনগুলি কেটে নেওয়া হয়। তারপর প্রচুর রক্তক্ষরণের পর ভগবান এবং লায়লা তাদের শরীরটাকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলেন। শুধু তাই নয় তারপর তারা সেই মাংস ভক্ষণও করেন। জানা গেছে পদ্মা এবং রোজালিনের মধ্যে একজনের দেহকে ওরা মোট ৫৬ টি টুকরো করেছিল। খুন করার আগে বেঁধে দিয়েছিল তাদের হাত-পা। বিত্তশালী হতে চেয়ে নৃশংস ঘটনা ঘটিয়ে সমস্ত প্রমাণ লুকোতে তারা পদ্মা এবং রোজালিনের শরীরের বাকি অংশ গুলোকে মাটিতে মোট তিনটি গর্ত করে ভাগে ভাগে পুঁতে দেয়। শফির কথাতেই এই সমস্ত কাণ্ড করেন দম্পতি।
জানা গেছে অভিযুক্ত ভগবল সিংহ পেশায় একজন থেরাপিস্ট কিন্তু তবু তার কেন এরকম মানসিক প্রবৃদ্ধি হল সেই নিয়ে দ্বন্দ্বে পুলিশ। কোচি পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ,” ব্যাপারটি এখনো ধোঁয়াশায় রয়েছে , এখনো তদন্ত চলছে, যত তদন্তে এগোবে তত স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে আসলে কি কি ঘটেছিল আর কেন ঘটানো হয়েছিল”