বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় মোদির ডকুমেন্টারি নিয়ে। বিবিসির (BBC) তৈরি ‘দ্য মোদি কোয়শ্চেন’ (The Modi Question)-র বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে খোদ ব্রিটেনেই। সারা বিশ্বেই উঠেছে নিন্দার ঝড়। কিন্তু ব্যতিক্রম রয়ে গেল ভারতের বামেরা। দ্যা ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া ভিন্ন পথে হাঁটল। কেরলের (Kerala) শাসক দল সিপিএম (CPM)-এর ছাত্র সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI) ঘোষণা করল কেরলে পুরোদমে চলবে ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’।
উল্লেখযোগ্য ভাবে ডিওয়াইএফআই-এর এঔ ঘোষণা তখনই এল যখন, এই তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে অ্যকশনে নেমেছে কেন্দ্র সরকার। নয়াদিল্লির নির্দেশে ইউটিউব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ভিডিও। টুইটারে শেয়ার করা সমস্ত লিঙ্ককেও ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে এই তথ্যচিত্রে একটি ভিন্ন দিক দেখানো হয়েছ ২০০২ সালে ঘটা গুজরাট দাঙ্গার। এই দাঙ্গার সময় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
গত শুক্রবারই কেন্দ্র সরকারের নির্দেশে টুইটার ইউটিউব থেকে :ইন্ডিয়া : দ্য মোদি কোয়শ্চেনের সমস্ত লিঙ্ক সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক অভিযোগ আনে এই তথ্যচিত্র একটি অপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রকে কলুষিত করতেই এই প্রচার চালানো হয়েছে। সরকার জানায়, এই তথ্য চিত্রের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিজ লুকিয়ে রাখা আছে। অবশ্য কংগ্রেস বা তৃণমূল কংগ্রেসের মতো বিরোধী শক্তিগুলি সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অপূর্ভা চন্দ্র তথ্য আইন ২০০১ এর ভিত্তিতে লিঙ্ক ব্লক করার নির্দেশ দেন বলে জানা যাচ্ছে। ৩০২ জন প্রাক্তন বিচারপতি, প্রাক্তন আমলা, প্রাক্তন সেনা কর্তার একটি দল জানা এই তথ্যচিত্রে বাস্তবতার অভাব রয়েছে। তাঁদের মতে ‘এই বিবিসির এই তথ্যচিত্রটিতে আমাদের নেতা, একজন ভারতীয় ও একজন দেশপ্রেমিকের চরিত্রে অকারণে কালি ছেটানো হচ্ছে।’