বাংলা হান্ট ডেস্কঃ 2016 সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে ধুমধাম করে শুরু করা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। তবে কয়েক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বর্তমানে সেই স্বপ্নে ধরলো চিড়! যে স্থানে কর্মতীর্থ গড়ে তোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল, সেই স্থানটি বর্তমানে অসামাজিক কাজের ‘আঁতুড়ঘর’ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। কেশিয়াড়ির কর্মতীর্থ বর্তমানে একপ্রকার ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর ভিতর থেকে বর্তমানে লাইট, পাখা, ইলেকট্রিক তার সহ একাধিক জিনিসপত্র গিয়েছে চুরি এবং তার বদলে বিল্ডিং জুড়ে জায়গা পেয়েছে মদের বোতল কিংবা অন্যান্য আবর্জনা।
স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। উল্লেখ্য, 2016 সালের 3 রা নভেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দপ্তরের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোতলা বিল্ডিংটিতে 114 টি স্টল পর্যন্ত বিলি করা হয়। লক্ষ্য একটাই, এলাকায় গড়ে তোলা স্বপ্নের প্রকল্প।
যদিও পরবর্তীকালে সেই স্বপ্ন সফল করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বরং বর্তমানে নিরাপত্তার অভাবে খোয়া গিয়েছে ভিতরকার একাধিক সামগ্রী থেকে শুরু করে লাইট, পাখা এবং ইলেকট্রিক তার সহ বহু জিনিস। এমনকি এই বিল্ডিংটি বর্তমানে অপরাধীদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে বলে দাবি এলাকাবাসীদের। বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন ঘরে মদের বোতল থেকে শুরু করে একাধিক আবর্জনা পড়ে থাকা তাদের সেই দাবি প্রমাণ করে।
তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতে কিভাবে এহেন বেহাল দশা হল ভবনটির? এই প্রসঙ্গে অবশ্য বিজেপি এবং তৃণমূল দুই দলই একে অপরকে দোষ দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। একদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অশোক রাউত বলেন, “বিগত বেশ কয়েক বছরে বিজেপি এখানে পঞ্চায়েত সমিতি তৈরি করেনি আর সেই কারণে তাদের অবহেলার জন্যই এই হাল হয়েছে।” অপরদিকে তাদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা গৌরী শঙ্কর অধিকারী বলেন, “গোটা বাংলা জুড়ে কর্মতীর্থগুলির বর্তমানে এই অবস্থা হয়ে চলেছে। এটাই সরকারের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”