বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশের নতুন সুপারস্টার হয়ে উঠেছেন যশ (Yash)। বলিউড তারকাদের রাজত্ব এখন অস্তাচলে। প্রভাস, আল্লু অর্জুন, রাম চরণ, জুনিয়র এনটিআরের পর যশকে নিয়ে মাতামাতি চলছে দক্ষিণ থেকে উত্তরে। ‘কেজিএফ’ এর পর ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ (KGF Chapter 2)’ও ব্লকবাস্টার হওয়ার দিকে এগোচ্ছে।
আজ যে যশের প্রেমে সকলে পাগল, তাঁর সুপারস্টার হয়ে ওঠার সফরটা কিন্তু আরো চমকপ্রদ। বিনোদন জগতের সঙ্গে কোনো যোগসূত্রই ছিল না নবীন কুমার গৌড়ার। হ্যাঁ, এটাই যশের আসল নাম। সিনেমায় পা রাখার পর নাম বদলে যশ করে নেন তিনি।
মাইসোরের হাসানে জন্ম আর বেড়ে ওঠা যশের। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ছিলেন তিনি। বাবার বাস কন্ডাকটরির চাকরিতে চলত পরিবার। দরিদ্র হলেও ছেলের দু চোখে ছিল বড় স্বপ্ন। ওই ছোট্ট বয়সেই যশ ঠিক করে নিয়েছিলেন, তিনি একদিন ‘সুপারস্টার’ হবেন। শুধু ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্নই দেখেননি, সেটা বাস্তব করেও দেখিয়েছেন।
অভিনেতা হওয়ার জন্য পকেটে মাত্র ৩০০ টাকা নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন যশ! সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, অভিনেতা হওয়ার এত ইচ্ছা কেন ছিল তাঁর। যশের কথায়, “অভিনেতা হলে যে অতিরিক্ত মনোযোগ পাওয়া যায় সবার, সিটি বাজানো এসব খুব ভাল লাগত আমার। যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতায় নাম দিতাম আমি আর নাচও করতাম। আমার খুব আনন্দ হত। ওভাবেই শুরুটা হয়েছিল, আর আজ আমি এখানে।”
শুধু অভিনেতা নয়, ‘স্টার’ হওয়ার স্বপ্ন ছিল যশের। ছোটবেলায় কিছু ছোটখাট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তাই স্কুলেও নাকি শিক্ষক শিক্ষিকারা তাঁকে ‘হিরো’ বলে মজা করতেন। কিন্তু ওই মজাটাই জেদ হয়ে চেপে বসেছিল যশের মনে।
অভিনেতা বলেন, ছোটবেলায় বাকিরা নানান ইচ্ছার কথা বলত সহপাঠীরা। কিন্তু তিনি সবসময়ই বলতেন, বড় হয়ে ‘সুপারস্টার’ হবেন। সবাই হাসত। কিন্তু ছোট্ট যশের বিশ্বাস ছিল, একদিন না একদিন ঠিক হিরো হবেন তিনি। দশম শ্রেণিতেই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিলেন যশ।
পরিবারের তরফে বাধা এসেছিল। বাবা মা ভেবেছিলেন, সিনেমার জগৎ ভাল নয়। কিন্তু অভিনেতা হওয়ার প্রচণ্ড ইচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন যশ। একটি থিয়েটার গ্রুপে যোগ দিয়ে ব্যাকস্টেজের কাজ শুরু করেন। স্ট্রাগল করতে করতেই আজ নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন যশ।