বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। ২০১৮ সাল থেকে জেলবন্দি ছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)। অবশেষে সোমবার জেল থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। গতকালই বিএনপি নেত্রীর মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন ওপার বাংলার সেনাপ্রধান। অবশেষে জেলের চার দেওয়ালের বাইরে বেরোলেন তিনি।
তছরুপের অভিযোগে ১৭ বছরের জেল হয়েছিল খালেদার (Khaleda Zia)
কোটা বিরোধী আন্দোলনে বর্তমানে রণক্ষেত্রে বাংলাদেশ। পতন হয়েছে হাসিনা সরকারের। রবিবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন মুজিব-কন্যা। সেদিনই জেলবন্দি খালেদার (Khaleda Zia) মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে সোমবার জেল থেকে ছাড়া পেলেন বিএনপি নেত্রী।
চ্যারিটেবল ট্রাস্টে আর্থিক তছরুপের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল খালেদার বিরুদ্ধে। ১৭ বছরের জেল হয় তাঁর। ২০১৮ সাল থেকে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটছিল নেত্রীর। এবার হাসিনা সরকারের পতন হতেই মুক্তি পেলেন তিনি। এমতাবস্থায় ওপার বাংলার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
আরও পড়ুনঃ অশান্ত বাংলাদেশ! গুজব ছড়ালেই কড়া পদক্ষেপ, এবার নজরদারি শুরু রাজ্য পুলিশের!
জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী (Bangladesh Prime Minister) হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস, সালেহউদ্দিন এবং খালেদা পুত্র তারিক রহমান। এদিকে পড়শি দেশের পালাবদল ভারতবর্ষের জন্যেও চিন্তার হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ ক্ষমতাবদলের পর পদ্মাপাড়ে চিনের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে তা ভারতের জন্য ভালো হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯৯১ সাল থেকে দফায় দফায় বাংলাদেশে সরকার গড়েছে হাসিনার আওয়ামি লিগ এবং খালেদার বাংলাদেশ ন্যাশানাল পার্টি। বাবা মুজিবুর রহমানের মতো হাসিনাও ভারতের ‘বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে খালেদার (Khaleda Zia) আমলে ওপার বাংলার সঙ্গে এদেশের সম্পর্ক বিশেষ মধুর ছিল না। আন্দোলনকারীদের চাপে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীত্বের সঙ্গে দেশ ছেড়েছেন মুজিব-কন্যা। ফলে তা ভারতের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের কথাও ভাবাচ্ছে অনেককে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালের জনগণনা অনুসারে ওপার বাংলায় হিন্দুদের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৮%। বিএনপি জমানায় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগও সামনে এসেছিল। ইতিমধ্যেই হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। নয়া সরকার গঠনের পথে বাংলাদেশ। ফলে পরিস্থিতি কোন দিকে বাঁক নেয় আপাতত সেদিকেই নজর সকলের।