স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে বিষয়গুলি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করেন সেগুলি নিয়ে মূলত কেউ আলোচনা করে না। দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে এমন ব্যাক্তিরা যে সব বিষয়ের উপর চিন্তা ব্যাক্ত করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ঠিক একই ইস্যুতে কথা বলেন। দেশে যেভাবে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঘটছে তা অত্যন্ত চিন্তাজনক। জনসংখ্যা বৃদ্ধির থেকে বেশি ভয়াবহ বিষয় জনবিন্যাসের পরিবর্তন। দেশের বহু স্থানে হিন্দুদের সংখ্যা কমতে শুরু হয়েছে। এমন পরিবর্তন দেশের তথা সমাজের জন্য খুবই ভয়াবহ।
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনসংখ্যা বিস্ফোরণের উপর চিন্তা ব্যাক্ত করেন। একইসাথে সমাজকে এর উপর আত্মমন্থন করতে বলেন। আগামী সময়ে সরকার এই বিষয়ের উপর আইন আনতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। যার জন্য জনসংখ্যা বিস্ফোরণ নিয়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে নানা মন্তব্য সামনে আসছে। বিশেষ করে কট্টরপন্থীরা জনসংখ্যা বিস্ফোরণের উপর কথা বলতে নারাজ। অন্যদিকে কিছুজন প্রধানমন্ত্রী মোদীর মন্তব্যের সমর্থনেও এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্যের পরে মুসলিম ধর্মের গুরু মাওলানা খালিদ রশিদ ফারঙ্গি মহালি তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
উনি বলেন, জনসংখ্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তা বৈধ। তবে আমি বিশ্বাস করি যে শিক্ষা বাড়ার সাথে সাথে জনসংখ্যা নিজেই নিয়ন্ত্রিত হবে। কেরালার উদাহরণ দিয়ে উনি বলেছিলেন যে কেরালা দেশের সর্বাধিক শিক্ষিত মানুষের রাজ্য। সেখানে শিক্ষার কারণে, সমস্ত সম্প্রদায়ের লোকেরা পরিবার গড়ে তোলার আগে পরিকল্পনা করে। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ করব। কারণ এর পরে জনসংখ্যা নিজেই নিয়ন্ত্রণে আসবে।