বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারত সরকারের (Indian Government) মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় থাকা খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যু হয়েছে। কানাডার সারে-তে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। কানাডার খালিস্তান টাইগার ফোর্স (KTF)-এর প্রধান ছিল মৃত খালিস্তানি জঙ্গি। ২০২২ সালে পঞ্জাবের জলন্ধরে একজন হিন্দু পুরোহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে হরদীপ সিং নিজ্জরের বিরুদ্ধে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। পুরোহিত হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য নিজ্জরের মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছিল। এই ঘটনার পরই বেপাত্তা হয়ে যান অপর এক খালিস্তানি নেতা। তিনি গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু। শিখস ফর জাস্টিস বা এসএফজে নামের একটি সংগঠনের প্রধান হলেন এই গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু। জানা যাচ্ছে, নিজ্জরের হত্যার পরই প্রাণ সংশয়ে ভুগছিলেন পান্নু৷ আর তারপরই প্রাণ বাঁচাতে গা ঢাকা দিলেন তিনি।
জানা যাচ্ছে প্রায় ৬০ ঘন্টারও বেশি সময় হয়ে গেল পান্নুর কোনও খোঁজ নেই। ইদানিং বেশ আতঙ্কে ভুগছিলেন এই খালিস্তানি নেতা। তাঁর সন্দেহ হয়েছিল এনআইএ-র নজরে পড়ে গিয়েছেন তিনি। একদিকে খুন হওয়ার আতঙ্ক, অপরদিকে এনআইএ-র হাতে ধরা পড়ার ভয়েই পালিয়েছেন তিন।
ভারতে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে যোগ থাকার অভিযোগে নিজ্জরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। সেই সময় পালিয়ে গিয়ে কানাডায় আশ্রয় নেয় সে। সম্প্রতি, নাশকতার অভিযোগে ভারত সরকারের তরফে ৪০ জন জঙ্গির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় মৃত কানাডার খালিস্তান টাইগার ফোর্স (KTF)-এর প্রধানের নাম রয়েছে।
গত মার্চ মাসে কানাডায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সম্মানে দূতাবাসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ছিল। খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংয়ের গ্রেফতারের প্রতিবাদে কানাডার খালিস্তানিদের তাণ্ডবের জেরে অনুষ্ঠানের বিঘ্ন ঘটে। বিক্ষোভকারীদের হাতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও হেনস্থা হয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
পর্যাপ্ত পুলিসি নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও, এই ঘটনার নিন্দা করে সরব হয় ভারতের বিদেশমন্ত্রক। ভারতীয় হাইকমিশনারের অফিসে সামনে সেই বিক্ষোভের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের বিরুদ্ধে।