বাংলাহান্ট ডেস্ক : নির্বাচনে টিকিট দিয়েছিল বামেরাই। জিতেও ছিলেন সেই টিকিটেই। কিন্তু জেতার পরই শিবির বদলের দিকে পা বাড়ালেন খড়্গপুরের সিপিআই কাউন্সিলর। তৃণমূলে যোগদানেই ইচ্ছে প্রকাশের পরই তাঁকে অবশ্য কড়া বার্তা দিয়েছে দল।
খড়্গপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বামেদের শক্ত ঘাঁটি। ৫২ বছর ধরে এই ওয়ার্ডে ক্ষকতায় রয়েছে বাম শিবির। এবার ওই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন সিপিআই প্রার্থী নার্ভিস পারভিন। পুরভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে এখনও দিন দশেকও কাটেনি। এর মধ্যেই শাসকদলে যোগ দেবেন বলেই জানালেন নার্গিস। নার্গিস পারভিনের দাবি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের চেষ্টা করেন, মানুষের কথা ভাবেন। আমিও উন্নয়নের সঙ্গেই থাকব। ওঁর এই কাজের সঙ্গে আমিও সঙ্গ দিতে চাই।’
তাঁকে দলে নেবে তৃণমূল, এমনটা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা। তিনি জানিয়েছেন, ‘উনি আমাদের দলে যোগ দিতে চেয়েছেন। সেই মতন ইতিমধ্যেই আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন। দলের কাছে সেই আবেদন পত্র পাঠিয়েছি। নিশ্চয়ই ওঁকে দলে কাজের সুযগ দেব।’ পুরো বিষয়টিতে অন্তর্ঘাতের কোনও বিষয় নেই এই দাবিও করেন সুজয় হাজরা।
এহেন খবর সামনে আসতেই রে রে করে উঠেছে বাম শিবির। এবারের নির্বাচনে খড়্গপুরে সব চেয় বেশি আসনে জিতেছিলেন নার্গিস পারভিন। ৫ হাজারেও বেশি ভোটের ব্যবধানে প্রাক্তন সিপিআই নেতা তথা বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর শেখ হানিফের স্ত্রীকে হারান তিনি। এহেন নেত্রীর দলত্যাগে যে প্রতিক্রিয়া দেখাবেই বাম শিবির, তা বলাই বাহুল্য।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিআইয়ের সহ সম্পাদক বিপ্লব ভট্টের দাবি, দিল ছাড়লে মানুষ ক্ষমা করবে না নার্গিসকে। অন্যদিকে অবশ্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের প্রসঙ্গ টেনে ব্যাপারটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন জেলা বিজেপির সহ সভাপতি সমিত মন্ডল। তাঁর সেই দাবিকেই অবশ্য উড়িয়েছেন তৃণমূল সভাপতি। তবে দল বদলকে ঘিরে ভোটের পরই যে বেশ সরগরম রেল শহরের রাজনৈতিক আবহাওয়া,তা আর বলার অবকাশ থাকে না