দীঘা,পুরী এখন অতীত! হাঁসফাঁস করা গরম থেকে বাঁচতে ঘুরে আসুন এই হ্রদ থেকে, মুগ্ধ হবেন আপনি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইতিমধ্যেই গরম পড়তে শুরু করেছে। গরমকাল এলেই আমরা সবাই পাহাড়ে ঘুরতে যেতে পছন্দ করি। শহরের গরম থেকে পালিয়ে পাহাড়ের শীতল হাওয়া গায়ে লাগালে আমাদের মন হয়ে ওঠে তরতাজা। তাই পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা মাথায় আসলেই আমাদের মনে পড়ে দার্জিলিং (Darjeeling) কিংবা কালিম্পংয়ের নাম। আমাদের মধ্যে অনেকেই বহুবার এই দুই জায়গায় গেছি।

এই দার্জিলিং থেকে একটু এগোলেই হিমালয়ের কোলে অবস্থিত সিকিম (Sikkim) রাজ্য। আজ আপনাদের সিকিমে অবস্থিত একটি মনোরম টুরিস্ট ডেস্টিনেশন সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি। খেচেওপালরি হ্রদ (Khecheopalri Lake) সিকিমের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ টুরিস্ট ডেস্টিনেশন। এখানে রয়েছে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র তীর্থস্থান। শুধুমাত্র তীর্থযাত্রীদের জন্য নয়, এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আকর্ষণ করে সবাইকে।

khecheopalri lake pranav bhasin

আপনি যদি দার্জিলিং ও সিকিমের পাহাড়ের একরকম রূপ ছাড়াও অন্য প্রাকৃতিক রূপ দেখতে চান তাহলে আসতেই পারেন এখানে। এই হ্রদ এনজিপি থেকে ১৩৮ কিলোমিটার দূরে। বহুদূর থেকে টুরিস্টরা এই লেকে ঘুরতে আসেন। আপনারা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি নিয়ে যাত্রা করতে পারেন সিকিমের দিকে। সকাল সকাল এই জায়গায় গেলে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার মন ভরিয়ে তুলবে।

দুর্দান্ত প্রাকৃতিক দৃশ্য ছাড়াও সিকিমের বিশেষ কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠানও দেখতে পাবেন আপনি। এই হ্রদের চারপাশে রয়েছে সবুজ বনানী। এত গাছপালা থাকা সত্ত্বেও লেকর জলে কিন্তু গাছের কোনও পাতা পড়েনা। পাখিরা নিয়ে চলে যায় সব পাতা। উল্লেখ্য খেচেওপালরি হ্রদের আকৃতি অনেকটা পায়ের ছাপের মতো। স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস, স্বয়ং ভগবান শিবের পায়ের ছাপের জন্যই এমন আকার এসেছে।

Sikkim

খেচেওপালরি গ্রাম অবস্থিত এই লেকের পাশেই। এই জায়গায় রয়েছে কিছু হোম স্টে। আপনারা যদি রাতে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাহলে এক রাত কাটাতে পারেন এই হোম স্টে গুলোতে। উল্লেখ্য, এই জায়গা থেকে আপনারা দেখতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা জলপ্রপাত, তাশি চোলিং মঠ এর মত সিকিমের দর্শনীয় কিছু স্থান। তাই পাহাড়ের এক অনন্য রূপের দর্শন পেতে ঘুরে আসুন টুক করে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর