বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার রাতে খিদিরপুরে (Khidirpur) গাড়ির উপর লরি উল্টে ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা আর সেই দুর্ঘটনার জেড়ে মৃত্যু হলো এলাকার কাউন্সিলর রাম পেয়ারে রামের ছেলের। মূলত খারাপ রাস্তার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান করা হলেও একইসঙ্গে একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসে চলেছে।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল খিদিরপুরের কাঁটাপুকুর রোড সংলগ্ন এলাকা। এলাকাবাসীদের দাবি, কয়েক মাস পূর্বে রাস্তা সারানো হলেও পুনরায় একবার খানাখন্দে ভরে যায় এলাকা। সূত্রের খবর, গতকাল রাত সাড়ে নটা করে কাঁটাপুকুর রোডের উপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন কাউন্সিলর পুত্র রামকিঙ্কর। তবে সেই সময় পাশ দিয়ে আসা একটি বিশাল লরি আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় গাড়িটির উপর। পরবর্তীতে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে এসে গাড়িটিকে উদ্ধার করা হলেও বাঁচানো যায়নি রামকিঙ্করকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
স্থানীয়দের দাবি, রাস্তার বেহাল পরিস্থিতির জন্য দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এদিন খবরটি সামনে আসতেই তৎক্ষণাৎ সেখানে উপস্থিত হন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে ডেপুটি কমিশনার সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। সম্পূর্ণ ঘটনা প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, “বাড়ি ফেরার জন্য এই রাস্তাটি দিয়েই যাচ্ছিল রামকিঙ্কর। তবে সেখানে ওর সঙ্গে এরম দুর্ঘটনা ঘটে গেল। সমবেদনা জানানোর মতো কোনো ভাষা খুজে পাচ্ছি না।”
যদিও বর্তমানে এই ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তা সারাই করা হলেও পুনরায় কেন তার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠল, সেই বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন জেগে গিয়েছে। একইসঙ্গে এক স্থানীয় জানান, “এখানকার রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তার ওপর আলো নেই। প্রতিদিনই মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।”
বর্তমানে অবশ্য কাউন্সিলর পুত্রের মৃত্যু খিদিরপুর এলাকার ভয়াবহ পরিস্থিতিতেই সামনে তুলে ধরলো। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফিরহাদ হাকিম বলেন, “অতীতের তুলনায় বর্তমানে কলকাতার রাস্তা ভালো হয়েছে। বর্তমানে যে সকল রোডের অবস্থা খারাপ, সেগুলির ওপর নজর রেখে চলেছে পুরসভা।” তবে গতকালের ভয়াবহ দুর্ঘটনা এবং রামকিঙ্করের মৃত্যু এদিন পুরসভার গাফিলতিকে সামনে তুলে আনলো বলে মত বিশেষজ্ঞদের।