বাংলা হান্ট ডেস্ক : হ্যাঁ শিরোনাম পড়ে একটু হলেও ভির্মি খাওয়ার অবস্থা হয় আমাদের। বিশেষ করে যারা এখন কলেজের পড়ুয়া বা কলেজ পাশ করে গেছে। কিংবা ইতিহাস পড়ার পাঠ চুকেছে এমন অনেকের। আসলে অবাক করার মতো হলেও বিষয়টি একেবারেই সঠিক। ২০১৪ সাল থেকে রাজ্য সরকারের পাঠ্য পুস্তকে বিপ্লবী খুদিরাম বসুকে সন্ত্রাসবাসী বলা হয়েছিল। তারপর থেকে বিপ্লবীকে স্বাধনতা সংগ্রামী নয় সন্ত্রাসবাদী বলেই চিনতে পড়ুয়ারা। যদিও আমাদের তো খানিকটা অবাক লাগবেই।
কারণ ভারতের স্বাধীনতা ইতিহাসে ক্ষুদিরাম বসুর অবদান নিয়ে কিছুটা হলেও অবগত রয়েছি পাঠ্য বইয়ের মাধ্যমে। তবে এবার রাজ্য সরকারের দেওয়া সন্ত্রাসবাদী তকমা ছেড়ে নতুন পরিচয় দেওয়া হল ক্ষুদিরামকে। তা হল স্বাধীনতা সংগার্মী ক্ষুদিরাম বসু। রিভিউ কমিটির সুপারিশ মেনে তা ঠিক করতে পাঁচ বছর সময় লাগল। তবে সময় লাগলেও যোগ্য় ব্য়ক্তি য়োগ্য় সম্মান পেয়েছে এতেই খুশি সকলে।
তবে হ্যাঁ এই সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়া নিয়ে রিভিউ কমিটির সদসদ্যরা আবার বিশেষ আপত্তি দেখছেন না। যদিও তাঁদেরই দাবিতে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবীর তকমা পেলেন ক্ষুদিরাম। কিন্তু বিধানসভায় বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। এরপর রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে ভুল শুধরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই পাঁচবছর রাজ্যের অষ্টম শ্রেনীর পাঠ্য ইতিহাস বাইতে ক্ষুদিরাম বসুকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবেই লেখা ছিল। কিন্তু পাঁচ বছর পর এবার অষ্টম শ্রেনীর পাঠ্য বইয়ে সন্ত্রাসবাদী তুলে দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী তকমা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভুল শোধরাতে কেন পাঁচ বছর সময় লাগল তা নিয়ে যছেষ্টই ক্ষুব্ধ রাজ্যবাসীর একাংশ।