বাংলা হান্ট ডেস্ক: রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় অপহরণের শিকার হয়েছিল এক কিশোরী। কিন্তু, সাহস এবং বুদ্ধির জেরে বড়সড় বিপদের হাত থেকে নিজেকে উদ্ধার করল সে। পাশাপাশি, বোলপুরের নিজের বাড়িতেও ফিরে এসেছে ওই কিশোরী। জানা গিয়েছে যে, মাদকজাতীয় দ্রব্যের গন্ধ শুঁকিয়ে তাকে অজ্ঞান করে দেন কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তারপরেই জ্ঞান ফিরলে সে দেখতে পায় হাওড়ায় রয়েছে সে। সেখান থেকে কোনোমতে পালিয়ে এসে পুলিশের সাহায্যে নিজের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী।
ওই ছাত্রীটির বাড়ি হল বীরভূমের বোলপুরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালীমোহনপল্লিতে। সে জানিয়েছে, গত সোমবার নতুনপুকুরে বান্ধবীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে একটি গলির কাছাকাছি কিছু অচেনা ব্যক্তি এসে তার কাছে একটি ঠিকানা সম্পর্কে জানতে চায়। ঠিক সেই সময় হঠাৎই মাদকজাতীয় কোনোকিছুর গন্ধ শুঁকিয়ে বেহুঁশ করে তাকে অপহরণ করা হয় বলে দাবি করেছে ওই কিশোরী।
পাশাপাশি, ওই ছাত্রী আরও জানিয়েছে যে, জ্ঞান ফেরার পর সে দেখে, তাকে যে জায়গায় রাখা হয়েছে সেখান থেকে হাওড়া ব্রিজটি দেখা যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, সে বুঝতে পারে অপরাধীদের পাল্লায় পড়ে হাওড়াতেই রয়েছে সে। ঠিক তারপরেই পালানোর সুযোগ খুঁজতে থাকে ওই ছাত্রী। এমনকি, একটা সময়ে পালাতেও সফল হয় সে। সেখান থেকে সরাসরি এক ট্রাফিক পুলিশের কাছে পৌঁছে পুরো বিষয়টি জানায় ওই কিশোরী।
ওই পুলিশকর্মীই তাকে গোলাবাড়ি থানায় নিয়ে যান।।এদিকে, এই ঘটনায় চরম উৎকণ্ঠায় পড়ে যান ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। এমনকি, মেয়ে বাড়িতে না আসায় দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর একটা সময়ে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা থেকে একটি ফোন আসে তাঁদের কাছে। এরপর সোমবার রাতেই বোলপুর থেকে হাওড়ায় পৌঁছে ওই ছাত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন পরিবারের লোকজন।
এই প্রসঙ্গে ওই ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, ‘‘মেয়ে যে কিভাবে হাওড়া পৌঁছল তা কিছুতেই বুঝতেই পারছি না আমরা। এর পেছনে কোনো অপহরণকারী দল রয়েছে বলেই আমাদের সন্দেহ।” এই ঘটনায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছে কিশোরীর পরিবার। পাশাপাশি, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ‘‘অপহরণের অভিযোগ জানানো হলে আমরা নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখব।’’ এদিকে, এইভাবে ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাতেও।