বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল কলকাতার একটি কলেজে গানের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে নজরুল মঞ্চে হাজির হন সংগীত শিল্পী কেকে আর স্টেজ পারফর্মেন্স-এর ঠিক পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অসুস্থতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর গায়কের মৃত্যু ঘিরে উঠে যায় একের পর এক প্রশ্ন আর সেই সকল প্রশ্ন ঘিরেই বর্তমানে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষকে। এবার এসকল বিতর্ক মাঝেই মুখ খুললেন মঞ্চেরই এক কর্মী। এদিন তাঁর বক্তব্যে উঠে এলো বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দীর্ঘ 12 বছর ধরে নজরুল মঞ্চে কর্মরত ওই ব্যক্তির দাবি, “আমি দীর্ঘদিন ধরে নজরুল মঞ্চে কর্মরত রয়েছি, কিন্তু গতকালের মত দৃশ্য এর আগে আমি কখনই দেখিনি।” তিনি বলেন, “কেকে-র অনুষ্ঠানে যে সংখ্যক আসন সংখ্যা রাখা হয়েছিল, গতকাল তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে মানুষ প্রবেশ করে আর এই কারণেই গোটা হলে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়।” উল্লেখ্য, বর্তমানে গোটা হলের বিভিন্ন প্রান্তে পড়ে থাকা বোতল এবং অন্যান্য একাধিক নোংরা জিনিসপত্র তাঁর এই দাবিটিকে সত্য প্রমাণ করেছে।
ওই ব্যক্তি আরো বলেন, “গতকাল সন্ধে সাতটা নাগাদ কেকে স্টেজে ওঠেন। এরপর তিনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে একের পর এক গান উপহার দিতে থাকেন এবং মাঝে মধ্যে গরমের জন্য ঘাম মুছতে স্টেজের পিছনেও চলে যান। দীর্ঘ 1 ঘন্টা 40 মিনিট ধরে চলে অনুষ্ঠানটি। গোটা অনুষ্ঠানে আসন সংখ্যা 2482 হলেও প্রায় আট হাজারের কাছাকাছি মানুষ ভিতরে প্রবেশ করে।”
উল্লেখ্য, গতকাল কেকের অনুষ্ঠান মাঝে নজরুল মঞ্চে এসি বন্ধ হয়ে যাওয়ার জল্পনা উঠতে থাকে। এদিন সেই জল্পনা উড়িয়ে ব্যক্তিটি বলেন, “এসি কখনোই বন্ধ হয়ে যায়নি, তবে হলের মধ্যে এত ভিড় হয়ে যাওয়ার কারণে সেটি ঠিক মত কাজ করছিল না। আর দরজাও খোলা ছিল।”
প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে আচমকাই নিজের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী KK। আর এরপর তাঁর মৃত্যু নিয়ে উঠে যায় বেশ কিছু প্রশ্ন। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে প্রথমে জানা যায় যে, অনুষ্ঠান শেষ করে হোটেলের ফিরেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন সংগীতশিল্পী এবং এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে জানা যায়, নজরুল মঞ্চে এসি কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয় তো আবার অপর এক সূত্র দাবি করে যে, অনুষ্ঠান চলাকালীন অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র নাকি চালিয়ে দেওয়া হয় আর তা থেকে নির্গত গ্যাসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন গায়ক। তবে শেষপর্যন্ত এই মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক কোথায় গিয়ে শেষ হয়, তার অপেক্ষাতেই রয়েছে কেকে-র অসংখ্য ফ্যান।