বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কেরল (kerala) নির্বাচনে মট্টানুর থেকে রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা (KK Shailaja)। করোনা আবহে তাঁর কর্মকান্ড, প্রশংসার নজির সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু কেরলের নতুন মন্ত্রীসভায় ঠাঁই হল না তাঁর। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরতেই সমালোচিত হল কেরলের বাম জোট।
সমালোচনার মুখে কেরল সরকার। রাষ্ট্রসঙ্ঘ দ্বারা স্বীকৃতি প্রাপ্ত এবং করোনা আবহে কাজের মাধ্যমে প্রশংসিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা ঠাঁই পেলেন না নতুন মন্ত্রিসভায়। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর বৃহস্পতিবার শপথ বাক্য পাঠ করতে চলেছেন কেরলের মন্ত্রীমন্ডলীরা। আর সেই তালিকায় শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ছাড়া আর পুরনো কোন মন্ত্রীকে রাখল না বাম জোট।
Sorry to see @shailajateacher leave the Kerala cabinet. Aside from her reputed competence & efficiency, I always found her helpful, responsive & accessible as Health Minister, esp during the #Covid crisis. She will be missed.
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) May 18, 2021
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজাকে মন্ত্রীসভা থেকে বাদ রাখায় প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর (Shashi Tharoor)। ট্যুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি লেখেন, ‘কেরলের মন্ত্রীসভা থেকে শৈলজা টিচারকে বাদ দেওয়াটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। করোনা আবহে বিপদের দিনে যেকোন সময়ে তাঁর কাছে সহজেই যাওয়া যেত। পরোপকারী, সহানুভূতিশীল ও সহজগম্য একজন মানুষ তিনি। ওনার অভাব বোধ করব আমরা’।
এবিষয়ে সিপিএম-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আমরা অনেক নতুন মুখ আনতে চাই। এমন অনেকেই আছে, যারা ভালো কাজ করেছেন, অথচ তাঁদের নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হয়নি। এটা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত, আর এই সাহস শুধু আমাদের দলেরই আছে। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া গত মন্ত্রিসভার কাউকেই নতুন মন্ত্রীসভায় রাখা হচ্ছে না’।
জানিয়ে রাখি, ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে হারের পর আবারও সেই বামপন্থীদের গড় কোজিখোডের বেপুর থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের জামাই ৪৪ বছর বয়সী পিএ মুহাম্মদ রিয়াসকে। যিনি সিপিআই (এম) এর যুব উইং ‘ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ফেডারেশন’র সভাপতি। ২০২০ সালের ১৫ ই জুন পিনারাই বিজয়নের মেয়ে বীণার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রিয়াস।