বাংলাহান্ট ডেস্ক: কেউ বলছেন, এই কিছুক্ষণ আগেও গান শুনে এলাম। কেউ বলছেন, কয়েক ঘন্টা আগেও মঞ্চ কাঁপাতে দেখেছি মানুষটাকে। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে কেকে-র (KK) জীবনের শেষ পালফরম্যান্সের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যগুলো ঠিক এমনি। ওই শোয়ের পরপরই মারা যান কেকে। কেউই এখনো ঘটনাটা বিশ্বাস করে উঠতে পারেনি।
কেকে-র আচমকা মৃত্যুর পরেই কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে শোয়ের ব্যবস্থাপনা নিয়ে। প্রশ্ন তুলে দিয়েছে গায়কের শেষ অনুষ্ঠানের কিছু ভিডিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে স্পষ্টতই অস্বস্তিতে দেখা গিয়েছে কেকে কে। অনুষ্ঠান চলাকালীনই মঞ্চের উপরে দরদর করে ঘামছিলেন গায়ক।
প্রচণ্ড গরম লাগছে, এমন দাবিও করেছিলেন। মঞ্চের সামনের দুটো স্পটলাইট নিভিয়েও দিতে বলেছিলেন তিনি। একটি ভিডিওতে শোনা যায়, মঞ্চের উপরে একজন বলছেন, কী গরম লাগছে! হেসে সম্মতি জানান গায়ক। গানের ফাঁকেই বারবার ঘাম মুছছিলেন, জল খাচ্ছিলেন।
সর্বশেষ গানটি গাইতে ওঠার সময়েই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন কেকে। কিন্তু অনুষ্ঠান বন্ধ করেননি মাঝপথে। প্রকৃত শিল্পীর মতোই সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান শেষ করে নেমেছেন মঞ্চ থেকে। যখন নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ঘিরে নজরুল মঞ্চ থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছেন, ততক্ষণে ঘেমে স্নান করে গিয়েছেন। মুখের অবস্থাই জানান দিচ্ছিল তাঁর শরীরের পরিস্থিতি।
শো শেষের পর হোটেলে ফিরে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করা হয়। গায়কের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এসে পৌঁছেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
কেকে-র মৃত্যুর পরেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে শোয়ের উদ্যোক্তাদের। যারা অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই দাবি করেছিলেন, আসন সংখ্যার ঢের বেশি সংখ্যক লোক ছিল সেই নজরুল মঞ্চে। এত জনস্রোতে ভেতরের অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছিল।
কেউ কেউ দাবি করেছেন, মনে হচ্ছিল যেন এসি কাজ করছে না। উপরন্তু শোয়ের আগে ভিড় সামলাতে ছড়ানো হয়েছে অগ্নি নির্বাপক গ্যাস। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যেকোনো মানুষকে অসুস্থ করে দিতে পারে বলেই দাবি করেছেন শোয়ের প্রত্যক্ষ দর্শকরা।