বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: একক দক্ষতার ওপর নির্ভর করে পরপর দুটি ম্যাচে জয় পেয়েছিল কেকেআর। আর তাদের বাস্তবের মাটিতে দাঁড় করালো দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন দিল্লির সেই ক্রিকেটার, যাকে একসময় বেঞ্চে বসিয়ে রেখে তার প্রতিভাকে নষ্ট করছিল নাইট রাইডার্স শিবির। আজকের ম্যাচে প্রাক্তন নাইট কুলদীপ যাদবের বিষাক্ত লেগস্পিনেই ধরাশায়ী হলো নাইট শিবির।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শ (৫১) ও ডেভিড ওয়ার্নার (৬১)। দুজনেই অর্ধশতরান করেন। তারা আউট হওয়ার পর প্রথমে রিশভ পন্থ (২৭) এবং শেষে অক্ষর প্যাটেল (২২) ও শার্দূল ঠাকুরের (২৯) ক্যামিওতে ভর করে ২১৫ রান তুলেছিল দিল্লি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাহানে ডোবালেও দলকে টানছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার(৫৫)। কিন্তু তাকে এবং গত ম্যাচের হিরো কামিন্সকে (৪) দ্রুত ফিরিয়ে দিল্লির জয় নিশ্চিত করে দেন কুলদীপ (৪/৩৫)। বাকি কেকেআর ব্যাটাররা কেউই আজ বড় কিছু করতে পারেননি। শেষপর্যন্ত ৪৪ রানের ব্যবধানে হারতে হয় নাইটদের।
আজকের দ্বিতীয় ম্যাচে লখনউয়ের বিজয়রথ থামলো অবশেষে। সন্ধ্যা ৭.৩০ থেকে আজ মুখোমুখি হয়েছিল দুই ফর্মে থাকা দল রাজস্থান রয়্যালস এবং লখনউ সুপারজায়ান্টস। তাদের মধ্যে লড়াইও হাড্ডাহাড্ডি। কিন্তু শেষপর্যন্ত লখনউয়ের তিন ম্যাচের জয়ের ধারার অবসান ঘটিয়ে এই ম্যাচে জয় পেলো সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান।
প্রথমে ব্যাট করে সুবিধা করতে পারেননি রাজস্থানের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা। কিন্তু শেষদিকে শিমরণ হেটমায়ার (৫৯*) এবং অশ্বিনের (২৮) জুটি মিলে স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো স্কোর তুলে দেয়। চলতি মরশুমে বার বার করে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন হেটমায়ার। রান তাড়া করতে নেমে বোল্টের পেস বোলিংয়ের সামনে বেকায়দায় পড়ে যায় লখনউ। ডি কক (৩৯) বাদে টপ অর্ডার চূড়ান্ত ফ্লপ। মিডল অর্ডারকে ভাঙেন চাহাল (৪/৪১)। শেষদিকে দীপক হুডা(২৫),এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া (২২) কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আসল লড়াইটা লড়ছিলেন ৮ নম্বরে নামা অজি অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোইনিস। ১৭ বলে ৩৮ রান করে ম্যাচ শেষ ওভার অবধি নিয়ে যান তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত ৩ রানের ব্যবধানে হার মানতে হয় লখনউকে।