বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কাল হারের পর হতাশ কেকেআর ভক্তরা। বেশ কয়েকটি বড় কারণে কাল হারের মুখোমুখি হতে হয়েছে নাইটদের। জেনে নিন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলি:
টস ভাগ্য:
টস দেখেই যেন বোঝা গিয়েছিল আজ ম্যাচের ভাগ্য কোনদিকে গড়াবে। চলতি আইপিএলে এখনও অবধি একটি ম্যাচ বাদে প্রতি ম্যাচে রান তাড়া করা দল জয় পেয়েছে। তাই টস জিতে দু প্লেসিস প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে দু বার ভাবেনি। এখানেই শ্রেয়স অনেকটা পিছিয়ে পড়েন।
দুর্বল ব্যাটিং:
কাল পিচে বাউন্স থাকায় টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটার শর্ট বলের শিকার হয়েছেন। তিনজন আউট হওয়ার পরে সেখানে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ইনিংসের ভিত গড়ার দরকার ছিল, যে কাজটা করার ক্ষমতা রাখেন শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু লেগ স্পিনার ওয়ারিন্দু হাসারাঙ্গা-কে লং-অন বাউন্ডারি পার করাতে গিয়ে অহেতুক ঝুঁকি নিয়ে আউট হন শ্রেয়স। ওখানেই নাইটদের ব্যাটিং লাইন-আপের কোমর ভেঙে যায়। অধিনায়ক হিসেবে আরও দায়িত্ববোধ দেখাতে হতো শ্রেয়সকে।
হাফফিট রাসেল:
ব্যাট হাতে এখনও যে কোনও বোলারকে গ্যালারিতে পাঠানোর ক্ষমতা রাখেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। কিন্তু তার বোলিং এবং ফিল্ডিং নিয়র প্রশ্ন উঠছেই। কাল একটি ক্যাচ নিলেও মাঠে ফিল্ড করার সময় বেশ কিছুটা স্লথ ছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে দুই ম্যাচেই অত্যন্ত বাজে বোলিং করেছেন তিনি। তার হাতে আর বল তুলে দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে শ্রেয়সকে।
আইয়ার টু আইয়ার:
কাল নাইটদের অবস্থা এমন হয়েছিল যে শেষ ওভারে রাসেলের হাতে বল তুলে দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। অথচ নীতিশ রানা অথবা ভেঙ্কটেশ আইয়ার যিনি ১৯ তম ওভারটিতে মোটামুটি ভালোই বল করেছেন তাদের যদি একটু তৈরি রাখা যেত, তাহলে হয়তো এই বেকায়দায় পড়তে হত না নাইটদের। পরের ম্যাচ থেকে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের হাতে হয়তো আরও বেশি করে বল তুলে দিতে চাইবেন শ্রেয়স।
রান আউট মিস:
সকলেই হয়তো স্বীকার করবেন যে কাল আরসিবি শিবির, নাইটদের থেকে ফিল্ডিংয়ের মানের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। ১৯ তম ওভারে দীনেশ কার্তিককে রান আউট করার সুযোগ পেয়েও সেই সুযোগ নিতে পারেনি কেকেআর। তিনি আউট হয়ে গেলে হয়তো ম্যাচের ছবিটা পাল্টে যেতে পারতো।