বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি পেশ হয়েছে বাজেট। তবে এরই মধ্যে বাজেট পেশের পরও চলতি অর্থবর্ষের খরচের মাত্রা বেঁধে দিল কলকাতা পুরনিগম (Kolkata Municipal Corporation)। ২০২৩-২৪ বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের উপরে এমবার্গো ঘোষণা করা হল পুরনিগম তরফে। পুরনো এমবার্গোর উপরই ফের নতুন করে বসানো হল এমবার্গো (Embargo)। কারণ কী? কারণ একটাই অর্থসঙ্কট আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে কলকাতা পুরনিগমের কোষাগারকে। তাই পুরনিগম তরফে জারি এই নির্দেশিকা।
গতকাল পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পুরসম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত (কোড নং-৪০০) এবং স্থায়ী সম্পদ (কোড নং-৮০০) তৈরির জন্য যে অর্থ বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে, তার মধ্যে ৬০ শতাংশ টাকার প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হবে পুরনিগমের কোষাগার থেকে। বরাদ্দকৃত ৬০ শতাংশ টাকায় বিভাগীয় কাজ সম্পাদন করে তার যাবতীয় নথি জমা দিলে তবেই বাকি ৪০ শতাংশ টাকা অনুমোদন করা হবে। পুরো কাজ দেখে টাকা দিলে কাজে গতি আসবে বলে মত পুরকর্তাদের একাংশের।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পেশ করা বাজেটে প্রস্তাবিত মোট ব্যয় ধরেছেন ৪৬৮৬ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা। প্রস্তাবিত মোট আয় ধরেছেন ৪ হাজার ৫৪০ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি ১৪৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে বাজেটে বিভিন্ন খেতে খরচের প্রশ্নে রাশ টেনেছে পুরপ্রশাসন। গত অর্থবর্ষে পুরনিগমের যে বাজেট পেশ করা হয়েছিল, তার উপর বসানো এমবার্গো না তুলেই চলতি অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেছিলেন ফিরহাদ। যা নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি।
এবারে পুর কমিশনার তরফে সার্কুলার জারি করে বলা হয়েছে, দু’টি খাতে খরচের উপর আপাতত লাগাম টানা হবে। তবে চলতি অর্থবর্ষের বাজেট পেশের সময় দেখা যায়, খরচে রাশ টানায় অনেকটা সুফলও মিলেছে। যদি আগের অর্থবর্ষের সঙ্গে তুলনা করা যায় তবে ঘাটতির পরিমাণ অনেকটাই কমেছে।
যখন বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থের ১০০ শতাংশ খরচের উপরে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হত তখন দেখা যেত পরবর্তী অর্থবর্ষে আয়-ব্যয়ের মধ্যে ঘাটতি অনেকটাই বেড়ে যেত। যা নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যায় পড়তেন অর্থ বিভাগের আধিকারিকরা। খরচের উপরে রাশ টেনে ধরায় সেই সমস্যা অনেকটাই কমেছে তাই এমবার্গো ধরেই এগোচ্ছে পুরকর্তৃপক্ষ।যাতে মাঝ পথে কোনো প্রকল্পের কাজ স্থগিত না নয় বা পরবর্তী অর্থবর্ষের বাজেটে বরাদ্দ অর্থের উপর ভরসা না করতে হয়।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা