৩ দিনের মধ্যে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা! জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম! কাদের কপাল খুলল?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে নানান সময়ে সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। ইতিমধ্যেই ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা নিয়ে ‘একলা চলো’ নীতি অনুসরণ করেছে রাজ্য। এবার এই ১০০ দিনের কর্মীদেরই মাসের পর মাস ধরে মজুরি না দেওয়া নিয়ে সরব হলেন কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) ২২ নং ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত এবং ১০৩ নং ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায়। তার প্রেক্ষিতেই বড় আশ্বাস দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। শনিবার তিনি বলেন, আগামী ৩ দিনের মধ্যে শহুরে রোজগার যোজনা বা ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের মজুরি মিটিয়ে দেওয়া হবে।

কেন্দ্রের কাছে ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য টাকা নিয়ে সরব ফিরহাদ (Firhad Hakim)!

গতকাল কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে ১০০ দিনের কর্মীদের মজুরি আটকে থাকা নিয়ে একযোগে সরব হন বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত এবং সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায়। তাঁরা বলেন, ৩ মাসের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও শহরের প্রায় ১৫,০০০ একশো দিনের কর্মী নিজেদের মজুরি পাননি।

জবাবে ফিরহাদ (Firhad Hakim) বলেন, কিছু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে একশো দিনের কর্মীদের মজুরি আটকে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই নিয়ে পুর কমিশনার অর্থ দফতরের সঙ্গে কথা বলেছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যেই সবার মজুরি দিয়ে দেওয়া হবে। মেয়র জানান, এই সমস্যা এড়ানোর জন্য একটি আলাদা ফান্ড তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেখান থেকে টাকা মিটিয়ে দেওয়া হতো। ফের রাজ্য দেওয়ার পর সেই ফান্ডে টাকা রাখা হতো। তবে অর্থ দফতর সায় দেয়নি বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ ‘আমি ভীষণ বোল্ড, খুব স্ট্রং’! লন্ডন সফরের আবহেই ‘গণশত্রু’দের নিশানা! বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী

একথা শুনে সিপিএম কাউন্সিলর বলেন, এবার থেকে ১০০ দিনের মজুরি প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট দিনে যাতে কর্মীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায় সেটা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে এমনটাই হবে বলে আশ্বাস দেন কেএমসির (KMC) মেয়র।

Firhad Hakim

এদিকে বিজেপি কাউন্সিলর আবার ১০০ দিনের (100 Days Work) কর্মীদের মজুরি বাড়ানোর দাবি জানান। তখনই কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা চেয়ে বসেন ফিরহাদ। মেয়র বলেন, ‘কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের এই প্রাপ্য টাকা আদায় করে দিন আমি কর্মীদের মজুরি দ্বিগুণ করে দেব। কেন্দ্রকে আগে টাকা দিতে বলুন’।

একথা শুনে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন পদ্ম কাউন্সিলর। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের উদাহরণ টেনে আনেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)। তিনি বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ দুর্নীতি করে সব টাকা পেয়েছে। অথচ রাজ্যের তরফ থেকে সব কাগজপত্র জমা দেওয়া হলেও কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে। সেই টাকা এনে দিন মজুরি বাড়িয়ে দেব’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর