বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা বিনোদন জগতে স্বস্তিকা নামের অভিনেত্রী রয়েছেন অনেকেই। তবে আজ এখানে যাঁর কথা হচ্ছে তিনি বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) জগতে ‘টেলিকুইন’ নামেও পরিচিত। তিনি আর কেউ নন স্বস্তিকা ঘোষ। তাঁকে অবশ্য ছোট পর্দার দর্শকরা ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) সিরিয়ালের নায়িকা দীপা (Deepa) নামেই বেশি চেনেন।
স্বপ্নপূরণ ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) দীপার
আর তিনি স্টার জলসার (Star Jalsha) এই হিট মেগা সিরিয়ালের হাত ধরেই দর্শকদের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে নিজের অভিনয় গুণে সাফল্যের শিখরে পৌঁছালেও স্বস্তিকার জার্নিটা মোটেই এত সহজ ছিল না। বর্তমানে তিনি অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। সম্প্রতি নিজের এই সাফল্যের কাহিনী এবিপি লাইভের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলেন ছোট পর্দার দীপা।
সেখানে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে একসময় নাচ-গানের চর্চা ছিল ঠিকই। কিন্তু, তাঁর পরিবার থেকে কেউ কোনদিন অভিনয়ের পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন না। ক্লাস সেভেন এইটে পড়ার সময় স্কুলের অনুষ্ঠানে অভিনয় করার পর থেকেই এই পেশার প্রতি আলাদা আকর্ষণ তৈরি হয় স্বস্তিকার। এরপরেই নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য শুরু হয় স্বস্তিকার লড়াই।
আরও পড়ুন : ‘TMC বলেই ট্রোল করা হচ্ছে’, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে নিন্দুকদের ধুয়ে দিলেন রচনা
খুব অল্প বয়সে স্কুল পাশ করার পর থেকেই এই পেশার সাথে যুক্ত হন স্বস্তিকা। প্রথম সিরিয়ালে তিনি নায়িকার বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তারপরেই সুযোগ আসে অনুরাগের ছোঁয়ার (Anurager Chhowa) মতো একটি সুপারহিট মেগা সিরিয়ালে অভিনয় করার। যদিও অনুরাগের ছোঁয়া শুরু হওয়ার আগে করোনা কালে মথুরাপুর থেকে কলকাতায় যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে উঠলে একসময় শিয়ালদা স্টেশনেও রাত কাটিয়েছিলেন স্বস্তিকা।
সেসময় স্বস্তিকার বাবাও এসে বসে থাকতেন তাঁর সাথে। কিন্তু দিনের পর দিন এইভাবে স্টেশনে রাত কাটানো সম্ভব নয়। তাই কলকাতায় একসময় একা থাকতে শুরু করেন স্বস্তিকা। তার জন্য প্রথমে খুবই কষ্ট হতো। তবে স্বস্তিকার কেরিয়ারে অনুরাগের ছোঁয়াই ছিল সবথেকে বড় ব্রেক। তাই স্টার জলসার এই হিট মেগাই হয়ে ওঠে স্বস্তিকার স্বপ্নপূরণের জ্যাকপট। তাই আজ যখন স্বস্তিকার বাড়ির সামনে অনেক অচেনা মানুষ তাঁকে দেখার জন্য এসে ভীড় করেন তখনই তাঁর মনে হয় কষ্ট সার্থক হয়েছে।