বাংলা হান্ট ডেস্ক : কলার পুষ্টিগত গুণাগুণ সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলতে হয় না, শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে এবং যে কোনও ধরনের সমস্যা সমাধানে কলার গুণাগুণ জুরি মেলা ভার। ডায়েট বা কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যাতে এক পিস কলায় যথেষ্ট। এ ছাড়াও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা রক্তচাপ এবং হৃদরোগের সমস্যা নিরাময়েও সাহায্য করে। তবে কলা তো খান কিন্তু কলার খোসা যেটি আমরা ফেলে দিই এটিও কিন্তু কলার সমান উপকারী। অর্থাত্ কলার খোসাতেও রয়েছে বেশ কয়েকটি গুণাগুণ।
এমনিতে কাঁচা কলার খোসা বিভিন্ন রকমের রেসিপি করে খাওয়া হয় কিন্তু কাঁচা ও পাকা কলার খোসাতে হয়েছে বেশ কিছু ওষুধি গুণাগুণ, সেগুলি হল-
1. অনেক সময় মশা বা পোকা মাকড় কামড়ে দিলে ত্বকে জ্বালা ভাব হয়। সে ক্ষেত্রে যদি কলার খোসা নিয়ে সেই স্থানেই ঘষা হয় তাহলে জ্বালা ভাব কমে যায়।
2. ব্রণর সমস্যা দূর করতেও কাঁচা কলার অব্যর্থ ব্যবহার রয়েছে।প্রতিদিন যদি কলার খোসার ভেতরের অংশটি ব্রণর জায়গায় লাগানো যায় সে ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
3. অনেক সময় দেখা যায় দাঁতের মধ্যে হলদে ছোপ রয়েছে, যতই ব্রাশ ব্যবহার করুন না কেন কিছুতেই যাচ্ছে না সে ক্ষেত্রে কলার খোসার ভিতরের দিকটা দাঁতের মধ্যে ঘষতে থাকুন তার পর সেটি পাঁচ মিনিট রেখে দিন এরপর দেখবেন দাঁত সাদা চকচকে হয়ে গেছে।
4. কাঁচা কলার খোসার ওপরের অংশের আঁটি ফেলে দিয়ে ভাল করে ভাপিয়ে নিন তাঁর সঙ্গে শুকনো মরিচ ভাজা পেঁয়াজ রসুন ও সরিষার তেল দিয়ে বেছে নিন এর পর ভাতের সাথে খেতে পারেন সেটি খুবই সুস্বাদু হয়।
5. জুতোর ময়লা দূর করতে কিংবা জুতো চকচকে করে তুলতে কাঁচা কলার খোসা খুবই কাজ দেয়। যদিও প্রথমে জুতোটি একটু পরিষ্কার করে নিয়ে তার পর তার উপরে আচ্ছা করা ঘষতে হবে। বে অবশ্যই ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন।
6. আঁচিলের ওপর কলার খোসা রেখে তা খুব ভালোভাবে একটু ঘষে নিতে হবে এরকম ভাবে সাত দিন করলেই দেখবেন আপনা আপনি সেটি কেটে পড়ে গিয়েছে।