বাংলা হান্ট ডেস্ক: কলকাতার ৫৯ পাম অ্যাভিনিউ-এর বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০ নাগাদ চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন বুদ্ধবাবু। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বয়সজনিত নানান সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে মৃত্যুর এখন সকলের কথায় উঠে আসছে বুদ্ধদেবের নানান অজানা কথা।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya) প্রিয় খবর কি জানেন?
বুদ্ধদেব (Buddhadeb Bhattacharya) ছিলেন একেবারে খাঁটি বাঙালি। বরাবরই পছন্দ করতেন বাঙালি খাবার। সকলেই জানেন, এত বড় মাপের একজন মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আজীবন খুবই সাদামাটা মধ্যবিত্ত জীবন-যাপনে নেই অভ্যস্ত ছিলেন। এমনকি তাঁর খাওয়া-দাওয়াও ছিল খুবই সাধারণ। জানা জন্য তাঁর সবচেয়ে পছন্দের খাবার ছিল কুমড়ো ফুলের বড়া।
চালের গুঁড়ো আর সুজির সাথে সামান্য কালোজিরে মিশিয়ে মুচমুচে করে ভাজা কুমড়ো ফুলের বড়া খাওয়ার পাতে পেলেই খুব খুশি হতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি এও শোনা গিয়েছিল এই কুমড়ো ফুলের বড়া খেতে তিনি এতটাই ভালবাসতেন যে জেলা সফরে গিয়েও তিনি খোঁজ করতেন কুমড়া ফুলের। এছাড়াও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পছন্দের খাবারের তালিকায় ছিল আরো একাধিক বাঙালি খাবার।
আরও পড়ুন: নো টেনশন, টিকিট কনফার্ম না হলেও মিলবে টাকা! ৯৯% মানুষ জানেন না এই সিক্রেট
মাংস-ভাত বরাবরই ছিল তার পছন্দের খাবার। এছাড়া বক ফুলের বড়া, কুমড়ো ফুলের বড়া তো ছিলই। সেই সাথে মাছের মাথা দিয়ে ডাল, মাছের ঝোল সবই খুবই তৃপ্তি ভরে খেতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মাছেদের মধ্যে তাঁর সবচেয়ে পছন্দের ছিল ট্যাংরা মাছ, পাবদা মাছ কিংবা কই মাছের ঝোল।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি যে ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তাতে তিনি চাইলেই যে কোন সময় বাহারি কিংবা বিদেশী খাবার খেতেই পারতেন। কিন্তু সেসব ছেড়ে বরাবরই তার ঝোঁক ছিল বাঙালি খাবারের প্রতি। আজীবন এইভাবেই খুবই সাদামাটা মধ্যবিত্ত জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।