বাংলা হান্ট ডেস্ক : সপ্তাহের শেষে দু-তিন দিনের ছুটিতে কাছে-পিঠে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাঙালির ‘অলটাইম ফেভারিট’ হল দিঘা (Digha)। শীত-গ্ৰীষ্ম-বর্ষা যেকোনো মরশুমেই অবসর সময় কাটানোর জন্য সকলেই ছুটে যান এই সৈকত শহরে। বিশেষ করে সপ্তাহের শেষ দিনগুলোয় দিঘায় (Digha) পর্যটকদের (Tourist) ভিড় থাকে চোখে পড়ার মত।
পর্যটকদের জন্য দিঘায় (Digha) নতুন নিয়ম
তবে ইদানিং উইকেন্ডে দিঘায় (Digha) শুধু বাঙালি পর্যটকরাই নন দেশ বিদেশ থেকেও বহু পর্যটক আসেন দীঘার সমুদ্রের গর্জন উপভোগ করার জন্য। আর তা হবে নাইবা কেন ইদানিং দিঘার প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলার জন্য নিত্যনতুন পরিষেবাও আনছে প্রশাসন। প্রতিনিয়ত ঢেলে সাজানো হচ্ছে এই সৈকত শহরকে।
তবে ইদানিং দিঘার উন্নতির সাথে সাথে বাড়ছে বেশ কিছু অবৈধ দোকানের সংখ্যা। এমনিতে দিঘার রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক অবৈধ দোকান। যার হাঁটা হেঁটে চলায় মুশকিল ফলে পর্যটকদের হাঁটাচলা করে মুশকিল হয়ে পড়েছে। এমনিতে বর্ষার মরশুম। আর তার ওপর সামনেই আসছে দুর্গাপুজো। সব মিলিয়ে গোটা দিঘা জুড়ে এখন সাজো সাজো রব।
সেই সাথে দীঘা প্রশাসনের তরফে জোর দেওয়া হয়েছে এলাকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকেও। দোকান সরানোর পাশাপাশি দিঘায় শুরু হয়েছে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ। সেই সাথে দিঘা কে অপরাধ মুক্ত করে তুলতেও এখানকার একাধিক জায়গা মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। এছাড়াও যে সমস্ত জায়গায় আলোর অভাব ছিল সেখানে নতুন করে আলো লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘১২ বছর আগে…’, রাখীতেই কাঞ্চনের সাথে বিশেষ দিনের সেলিব্রেশন শ্রীময়ীর
পাশাপাশি নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ঘড়ির কাঁটায় রাত ১১ টা বাজলেই পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়দের হাঁটা চলার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই সাথে রাত ১১ টা বাজলেই দোকানদারদের দোকান বন্ধ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা কাঁথির মহাকুমা শাসক শৌভিক ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দিঘার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কোনওরকম আপস করা হবে না। দিঘায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের সুরক্ষিত রাখতেও একাধিক পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।