বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশের সবচেয়ে বড় পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) কাছে। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কয়েক কোটি মানুষ যাতায়াত করেন এই রেলপথে। যাত্রী সুবিধার্থে রেল কর্তৃপক্ষও নিয়ে আসে একটার পর একটা নতুন নতুন অফার। তারমধ্যেই আজ আমরা আপনাদের জানাচ্ছি রেলওয়ের এমনই এক অনন্য পরিষেবার কথা, যা সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন।
আজ আমরা যে রেল পরিষেবার কথা বলছি তার নাম হল সার্কুলার জার্নি টিকিট। খুব কম যাত্রীই এই পরিষেবার কথা জানেন। এবং না জানার কারণে এত সুন্দর একটা পরিষেবা থেকে দূরে রয়েছেন মানুষ। জেনে অবাক হবেন যে, সার্কুলার জার্নি টিকিটের সৌজন্যে একটি টিকিটে ৮টি ভিন্ন স্টেশন থেকে ভ্রমণ করতে পারবেন। এবং যে কোনো ক্লাসে ভ্রমণের জন্য সার্কুলার টিকিট কেনা যাবে।
কীভাবে যাত্রা করবেন : ধরুন আপনি উত্তর রেলওয়েতে নয়াদিল্লি থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বৃত্তাকার যাত্রার টিকিট কেটেছেন। এমতাবস্থায় আপনার যাত্রা শুরু হবে নয়াদিল্লি থেকে এবং যাত্রা শেষও হবে নয়াদিল্লিতেই। এর মাঝখানে আপনি মথুরা থেকে মুম্বাই সেন্ট্রাল – মারমাগোয়া ব্যাঙ্গালোর সিটি মাইসোর ব্যাঙ্গালোর সিটি, উদগামন্ডলম- তিরুবনন্তপুরম সেন্ট্রাল হয়ে কন্যাকুমারীতে পৌঁছাবেন এবং একই রুট দিয়ে নয়া দিল্লিতে ফিরে আসবেন।
জানিয়ে রাখি, সার্কুলার জার্নি টিকিট কিন্তু আপনি কাউন্টার থেকে কিনতে পারবেননা। এরজন্য আপনাকে আলাদা করে আবেদন করতে হবে। আপনার প্রতিটি গন্তব্য সম্পর্কে রেল কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।
সার্কুলার জার্নি টিকিটের বৈধতা : এই বিশেষ টিকিটের বৈধতা ৫৬ দিন। এই টিকিট বুক করার সময় যাত্রীদের মনে রাখতে হবে যে তাদের যাত্রা যেখান থেকে শুরু হচ্ছে, সেখানেই শেষও হবে।
বৃত্তাকার ভ্রমণ টিকিটের সুবিধা : আপনি যদি লম্বা সফরে যান, তাহলে বিভিন্ন স্টেশন থেকে টিকিট নিতে হবে না। এতে আপনার মূল্যবান সময়ও নষ্ট বাঁচবে। আলাদা আলাদা করে টিকিট কাটলে তার খরচও বেশি হয়। এতে সাশ্রয়ও হবে। সার্কুলার জার্নি টিকিটের ক্ষেত্রে টেলিস্কোপিক রেট প্রযোজ্য হয়, যা রেগুলার পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভাড়ার চেয়ে অনেক কম।