বাংলা হান্ট ডেস্ক : বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীতে বৈচিত্র্যের অভাব নেই। সৃষ্টির আনাচে কানাচে এমনসব তথ্য লুকিয়ে রয়েছে যা অবাক করে গোটা সমাজকে। আজও পৃথিবীর কত রহস্য যে মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে তার ইয়ত্তা নেই। এরমধ্যে এমন অনেক প্রজাতির প্রাণী আছে যাদের বিশেষ সুরক্ষার মধ্যে রাখা হয়েছে। আজ আমরা এমনই কিছু প্রাণীর কথা বলব যারা অনেকদিন পর্যন্ত বাঁচে।
Bowhead তিমি (Bowhead Whale) : বোহেড তিমি আর্কটিক সাগরে এবং তার আশেপাশে বাস করে। এই মাছ ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাঁচতে পারে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘজীবী তিমিটি ২১১ বছর বেঁচে ছিল। এরই সমগোত্রীয় মিনকে তিমি বাঁচে ৬০ বছরের আশেপাশে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বোহেড তিমির মধ্যে একটি বিশেষ ধরনের জিন (ERCC1) রয়েছে। এই জিন শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ মেরামত করতে সাহায্য করে। এ কারণে ক্যানসারের মতো বিপজ্জনক রোগ হয় না বোহেড তিমিদের।
কচ্ছপ (Turtle) : তিমির পাশাপাশি কচ্ছপও অনেকদিন বাঁচে। গ্যালাপাগোস কচ্ছপ গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ বছর বাঁচতে পারে। অদ্বৈত নামে একটি পুরুষ কচ্ছপ ২২৫ বছর বেঁচে ছিল। এই কচ্ছপটি ২০০৬ সালে ২২৫ বছর বয়সে মারা যায়। বিজ্ঞানীদের মতে, কচ্ছপদের দীর্ঘায়ু হওয়ার পেছনের কারণ তাদের ডিএনএ গঠনে নিহিত।
মিষ্টি জলের ঝিনুক (Freshwater Pearl Mussels) : মিষ্টি জলের ঝিনুক জলে বসবাসকারী সবচেয়ে অনন্য প্রাণী। এরা জলেথ ভেতরে সূক্ষ্ম কণা ফিল্টার করে তাদের খাদ্য তৈরি করে। এদের হজম প্রক্রিয়া খুবই ধীর। এই কারণে, তারা দীর্ঘকাল বেঁচে থাকে। বিজ্ঞানীদের মতে, এখন পর্যন্ত পাওয়া প্রাচীনতম মুক্তা ঝিনুকের বয়স ২৮০ বছরেরও বেশি।
গ্রিনল্যান্ড শার্ক (Greenland Shark): গ্রীনল্যান্ড শার্ক এক বছরে মাত্র ১ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়। এরা খুবই অলস প্রকৃতির হয় এবং ধীরে ধীরে সাঁতার কাটে। যার কারণে নাকি তাদের শরীর থেকে কম শক্তি খরচ হয়। এরা প্রায় ৪০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
হাইড্রা : আপনি নিশ্চয়ই বইয়ে হাইড্রা সম্পর্কে পড়েছেন। অনেক গবেষণার পরও বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত এর সঠিক বয়স অনুমান করতে পারেননি। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, তারা অমর। যদি তাদের বাইরে থেকে আঘাত না করা হয় তবে তারা কখনই মারা যায়না।