বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েক বছর ধরে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এই মামলায় এখনও জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন। তবে ইদানিং সকলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujaykrishna Bhadra)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর দেওয়া চার্জশিট শোরগোল ফেলে ইতিমধ্যেই। সম্প্রতি ওই চার্জশিটে উঠে এসেছে এক রহস্যময় চরিত্র ‘চিনু দা’ (Cinu Da)। কিন্তু প্রশ্ন হল কে এই চিনু দা? কী তাঁর আসল পরিচয়? সিবিআই চার্জশিটে কেন উল্লেখ রয়েছে তাঁর নাম? এই মুহূর্তে তাঁকে ঘিরে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে এমনই একাধিক প্রশ্ন।
নিয়োগ মামলায় (Recruitment Scam) রহস্যময় ‘চিনু দা’ কে?
সিবিআই সূত্রে খবর নিয়োগ মামলার (Recruitment Scam) এই ‘রহস্যময়’ নতুন চরিত্র চিনু দা ওরফে অরুণ হাজরা আসলে ‘কালীঘাটের কাকু’র ঘনিষ্ঠ একজন ব্যক্তি। তিনি কলেজ স্কোয়ার এলাকার অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন নেতা। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁর লাল রঙের আইটেন গাড়ি করে কোটি কোটি নগদ টাকা পৌঁছে যেতে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বেহালার বাড়িতে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে অন্তত ১২ বার এই লাল আইটেন গাড়ি করে কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে নগদ টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কর্মী মকবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা যে তথ্য পেয়েছেন তা ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। যা থেকে জানা যাচ্ছে মকবুল হোসেনের কাছ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি নোটবুক উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই নোটবুক থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা মোট ৩১ কোটি টাকার হিসাব পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘ভুল টুল হয়েছে। ক্ষমা টমা করো!’ রাজীবের সাথে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে যা বললেন কল্যাণ…
নোটবুক ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, দফায় দফায় কখনও ১২ কোটি তো কখনও ২৪ কোটি এমনই মোটা অংকের টাকা বিভিন্ন সময়ে এসে পৌঁছেছিল কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কাছে। সিবিআই অফিসারদের আরও দাবি অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা চাকরির (Recruitment Scam) বিনিময়ে যে ঘুষের টাকা দিতেন তা বিভিন্ন সাব এজেন্টদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হতো। সেই টাকা চিনু দা ওরফে অরুণ হাজরার মত একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে পৌঁছে যেত কালীঘাটের কাকুর কাছে।
সিবিআই-এর দেওয়া ওই চার্জশিটে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে এই ৩১ কোটি টাকা শুধুমাত্র ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে লেনদেন করা হয়েছে। এর আগে যে টাকা লেনদেন হয়েছে তা নাকি অন্য তথ্য থেকে তদন্তকারীদের হাতে এসে পৌঁছেছে।