বাংলা হান্ট ডেস্ক : কয়েক শতক ধরে চলা অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায়দান হয়েছে শনিবার৷ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তরফ থেকে হিন্দুদের অযোধ্যার বিতর্কিত জমির উপরেই রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অযোধ্যার যে জমি তার পরিমাণ 2.7 এ কর আর ওই জমি এখন মালিকানা সরকার, তাই কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্ট গঠন করে সেই জমির ওপর রামমন্দির নির্মাণের রূপরেখা তৈরিরনির্দেশ দেবে এমনটাই বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে৷
অন্যদিকে এই রায়ে মুসলিমদের বঞ্চিত করা হয়নি তাই অযোধ্যার জমি থেকে কিছুটা দৌড়ে মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে৷ তবে কেনই বা মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হলেও আর কেনই বা মুসলিমদের বিকল্প জমি দেওয়া হল? দেশের শীর্ষ আদালতের রায়দানের পর এই প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করছে, তাহলে কি সমঝোতায় আসতে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়? কী বলছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা?
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ তরফে জানানো হয়েছে অযোধ্যার এই বিতর্কিত জমির মামলার যে তথ্য প্রমাণ হিন্দুরা দিয়েছে তার বেশি যুক্তিযুক্ত অন্যদিকে মুসলিমদের তথ্য প্রমাণ খারিজ করে দেয়নি তারা৷ তবে যেহেতু কয়েক দিন আগে শুনানিতে হিন্দু বোর্ডের তরফ থেকে আইনজীবী পুরাতত্ত্ব বিভাগের কর্মীদের সাক্ষ্য প্রমাণের কথা তুলে ধরেছিলেন শনিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সে কথাই তুলে ধরে স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন বছর ধরেই বিতর্কিত জমিতে মসজিদ নির্মাণ হয়নি
যদিও একটি কাঠামো ছিল কিন্তু সেই কাঠামো নিয়েও সংশয় রয়েছে৷ এ দিন বিচারপতি আরও জানান সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তরফ থেকে যে সাক্ষ্য প্রমাণ আনা হয়েছিল তার কোনও ভিত্তি পাওয়া যায়নি৷ তাই অবশেষে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায় গিয়েছে এক প্রকার হিন্দুদের দিকেই৷ তাহলে কেন মুসলিমদের বিকল্প পৌঁছে কর জমি দেওয়া হল এই প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে
দীর্ঘ ষাট বছর ধরে এই জমি মামলার মালিকানা নিয়ে লড়ে আসছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, এমনকি এই জমির উপরেই নাকি তাঁরা নিয়মিত প্রার্থনা করতে তাই এই জমি তাঁদের দিকে না গেলেও বিকল্প জমি যদি না দেওয়া হতো তাহলে তা সংবিধানবিরোধী এমনটাই বলেছেন বিচারপতি৷