বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘিরে হাজারো কাণ্ড রাজ্যজুড়ে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বিতর্কিত তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি (TMC Candidate Mahadev Mati)। খবর ছড়িয়ে পড়েছিল সিপিএম প্রার্থীর কাছে ৪ ভোটে হারছিলেন জেনে হাবরার ভুরকুণ্ডা গ্রামের ৩১ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি নাকি এক গোছা ব্যালট পেপার টেবিল থেকে তুলে চিবিয়ে খেয়েই ফেলেন! সংবাদমাধ্যমের সামনে এই ঘটনার কথা বলেন তার বিরুদ্ধে লড়তে-নামা সিপিএম প্রার্থী। এরপরেই শুরু হয় জোর চৰ্চা।
সূত্রের খবর, এই অভিযোগের পরই ওই বুথের ভোটগণনা স্থগিত হয়ে রয়েছে। তবে এই তৃণমূলের মহাদেবকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে মিমের ঝড়। একের জনের একেক রকম কটাক্ষ, কতই না হাসাহাসি। যদিও ব্যালট পেপার খাওয়ার অভিযোগ ওঠার পরই খানিকটা মুখ ঢাকা দিয়ে ছিলেন এই তৃণমূল প্রার্থী। তবে বুধবার শেষমেষ এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
সাংবাদিক তার ‘প্ৰিয়’ খাবার নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন,” রটনা নিয়ে বলতে চাইছেন তো! আমি সবচেয়ে ভালবাসি চা। যে যখন দেয় খেয়ে নিই।” ব্যালট পেপার গিলে খেলেন কেন? মহাদেব বলেন, “ঘটনাটা অনেকটা অমন কেউ বলল কাকে কান নিয়ে গিয়েছে! অমনি কাকের পিছনে ছোটা। কেউ প্রমাণ করতে পারবে আমি ব্যালট পেপার খেয়েছি?”
কিছুটা রেহেই মহাদেব বলেন, “আমি অত বোকা নই। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তখন আমি জিতছিলাম। তাই ব্যালট নষ্ট করার কোনও মানেই হয় না। আর যদি বলাও হয়, এক বার ভেবে দেখুন তো! ব্যালটপেপার কখনও খাওয়া যায়? ওতে তো ভোটের কালি লেগে রয়েছে। অ্যাসিড থাকে ওই কালিতে। ওসব খেলে কী আমি কি বাঁচতাম?”
প্রসঙ্গত, ওই বুথের সিপিএম প্রার্থী তো বটেই এমনকি খোদ তৃণমূলেরও অনেকে বলছেন যে, তিন-চারটে ব্যালট পেপের খেয়ে থাকতে পারেন মহাদেব। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, “সিপিএম হেরে যাচ্ছিল বলে বলেছে। আর দলের কে, কী বলছেন আমি জানি না। তবে আমি জানি আমি খাইনি। আর যদি বিশ্বাস না হয়, তবে আমার পেটের এক্স-রে করা হোক। দেখা যাক না পেটে কী রয়েছে!”
মহাদেববাবু আরও বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও তো কত অভিযোগ! কিন্তু আমাদের নেতা সম্পর্কে কি কোনও কিছু কেউ প্রমাণ করতে পেরেছে? পারেনি। আমারটাও পারবে না। আমি তো খাইইনি।” মহাদেবের আরও দাবি, ” “তখন আমি ২৬ ভোটে জিতছিলাম। অসত্য অভিযোগ তোলা হল। এখন যা হওয়ার হবে। তবে আমি চাই, অভিযোগ করলেই হবে না। প্রমাণ দেওয়া হোক!”