বাংলা হান্ট ডেস্ক : সর্দি কাশি নিরাময়ে কিংবা অন্যান্য যেকোনো পথ্য তৈরিতে মধুর গুণাগুণ জুড়ি মেলা ভাড়। তার সঙ্গে তো শীতে রূপচর্চার জন্য মধুর ব্যবহার রয়েইছে। এককথায় ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ মধুর কার্যকারিতা অনেক। তাই তো শীতের শুরু মানেই ঘরে ঘরে এখন মধুর শিশি চলেই এসেছে। অনেকের বাড়িতে শিশুদের সর্দি কমানোর জন্য রাম তুলসী পাতা দিয়ে মধু খাওয়ানোর হয়ে থাকে।
তার ওপরে যারা আবার বাতের ব্যাথায় কষ্ট পান কিংবা শরীরের বাড়তি ওজন ঝড়াতে চান তাঁদের জন্য তো মধ্ু একেবারে মোহময়ী। সুদুর প্রাচীন কাল থেকেই ওষধি হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদিও আগে গ্রামাঞ্চলে মধু চাষ করা হত। এবং অনেকসময় মৌচাক ভেঙে মধু পাওয়া যেত। সেই মধু আসলে খাটিই ছিল।
কিন্তু এখন যত দিন যাচ্ছে ততই মধু পাওয়ার সহজলভ্যতা কমে যাচ্ছে। আর তাই তো দোকানের ওপরেই ভরসা করতে হচ্ছে। কিন্তু অনেকসময় এই দোকানের মধু খাঁটি কি না তা জানার উপায় থাকে না। তবে মধুটি খাঁটি নাকি ভেজাল মেশানো তা জানার উপায় তো অবশ্যই রয়েছে। জেনে নিন কিভাবে-
. মধুর স্বাদে মিষ্টি গন্ধ থাকবে। তাতে কোনো ঝাঁঝ থাকবেনা।
. খাঁটি মধুর গন্ধ হবে অত্যন্ত মিষ্টি ও আকর্ষনীয়।
. খাঁটি মধু হলে শীতে জমাট বেঁধে যাবে।
. একটি ব্লটিং পেপার রেখে তার ওপরে মধু ছিটিয়ে দিন যদি দেখেন সেটি শুষে নিল তাহলে বুঝবেমন সেটি আসল মধু নয়।
. একটি সলতে নিয়ে মধুতে ডুবিয়ে তা জ্বালানোর চেষ্টা করুন। যদি জ্বলে ওঠে বুঝবেন খাঁটি মধু। আর না জ্বললে বুঝতে হবে মধুতে ভেজাল মেশানো রয়েছে।
. মধু জমাট বাঁধতেই পারে। সেটি গরম জলের আভাসে রেখে দিলে যদি দেখেন সেটি গলে যাচ্ছে বুঝবেন আসল মধু।
. একটি সাদা কাপড়ের মধ্যে মধু রেখে দিন সেটি যদি দাগ লেগে থাকে ধোঁয়ার পরেও বুঝবেন সেটি কিন্তু খাঁট জিনিস নয়।
. একটি বাটিতে কিছুটা পরিমানে জল নিয়ে মধু ফেলে দিন। যদি দেখেন সেই মধু টি ভেসে থাকছে তাহলে বুঝতে হবে আসল মধু আর যদি গুলে যায় বুঝতে হবে নকল মধু।