বাংলা হান্ট ডেস্ক : সিঁদুরে রাঙা হয়ে ইতিমধ্যেই কৈলাসে পাড়ি দিয়েছেন মা দুর্গা। আবার এক বছরের অপেক্ষা। পুজো শেষ হয়ে যাওয়ায় একরাশ মন খারাপ নিয়েই একে অপরকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সবাই। কিন্তু কথায় আছে, ‘বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ’। তাই দুর্গা পুজো শেষ হতে না হতেই সবাই এখন ব্যস্ত কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো (Laxmi Puja) নিয়ে।
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো (Laxmi Puja)
প্রত্যেক বছর দুর্গা পুজার শেষ হতেই কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে প্রত্যেক বাঙালি গৃহস্থ বাড়িতে লক্ষ্মী দেবীর (Laxmi Puja) আরাধনায় মেতে ওঠেন সকলেই। মূলত কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবীর লক্ষ্মীর আরাধনার চল রয়েছে বাংলার প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে। এবছর আগামী ১৬ই অক্টোবর শ্রী শ্রী কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো (Laxmi Puja)।
বহুদিন ধরেই বাংলায় এই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। সম্পদ, সৌভাগ্য এবং সৌন্দর্যের দেবী লক্ষ্মী। পুরান মতেই কোজাগরী শব্দটি এসেছে ‘কো জাগর্তি’ অর্থাৎ ‘কে জেগে আছো?’ থেকে। কথিত আছে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে দেবী লক্ষ্মী মর্ত্যে নেমে এসে পুরো জগৎ ভ্রমণ করেন। তিনি দেখেন এই দিনে কেউ সারা রাত জেগে আছেন কিনা?
কোজাগরি পূর্ণিমা রাতে কেউ যদি রাতজেগে দেবীর আরাধনা করেন এবং দেবীর আগমনের অপেক্ষায় থাকেন তাহলে তাঁর ওপর লক্ষ্মী দেবীর কৃপা দৃষ্টি পড়ে। বলা হয় ভক্তি ভরে এই লক্ষ্মী পুজো করার পর বালক, বৃদ্ধ কিংবা শিশুদের খাবার খাওয়াতে হয়। আজও ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য গৃহস্থরা সারারাত ঘরে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখেন। প্রত্যেক বছর দেবী দুর্গা কৈলাস যেতেই শুরু হয়ে যায় কোজাগলী লক্ষ্মী পুজোর তোড়জোড়।
আরও পড়ুন : ‘মানসিক সুস্থতা কামনা করি…’, বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা বার্তায় এ কি বললেন কোয়েল?
এই পুজোর দিন বাংলার প্রতিটি ঘর মুখরিত হয়ে ওঠে শঙ্খ আর উলু ধ্বনিতে। এই লক্ষ্মী পুজোর সাথে ওতপ্রোতভাবেজড়িয়ে রয়েছে বাংলার কৃষিকাজ। যার মধ্যে রয়েছে আলপনা দেওয়ার রীতিও। দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় তৈরি করা হয় বিশেষ সরাও।