বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবারের পুজো শুরু হয়েছে মহালয়া থেকেই, ষষ্ঠী পর্যন্ত অপেক্ষা না করতে পেরে বাঙালি উৎসবের আনন্দে মেতেছে মহালয়ার দিন থেকেই। শুধু তাই নয় , পূজা পরিক্রমাও শুরু হয়েছে মহালয়া থেকেই। কলকাতায় এই সময় চারদিকে সাজো সাজো রব। প্রেমে , আনন্দে মেতে উঠেছে বাঙালি।
প্রতি বছরই পিতৃ পক্ষের অবসানের সাথে মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনাকালেই তার পরের বছর আসন্ন দুর্গাপূজার নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়। এই নিয়মের অন্যথা এবারেও হয়নি। কিন্তু আগামী বছরের পুজোর নির্ঘণ্ট দেখেই আবারও বিষাদের ছায়া পড়েছে বাঙালির মনে ।
এই বছর ২ রা অক্টোবর গান্ধী বার্থডে পড়ে গেছে পুজোর সময়েই। অর্থাৎ একটি সরকারী ছুটির দিন পুজোর ছুটিতে পড়ে নষ্ট হয়েছে । এই শোকে মুহ্যমান আপামর বাঙালি। তবু আশায় বুক বেঁধে সবাই দেখতে বসেছিল আগামী পুজোর নির্ঘণ্ট। কারণ একটা পুজোর শেষ মানেই আগামী পুজোর শুরু । শুধু মনে মনেই নয় , পুজো উদ্যোক্তারা পরের পুজোর আয়োজন করতে বসে পড়েন বিজয়ার দিন থেকেই । আর সাধারণ মানুষ হতে ক্যালেন্ডার নিয়ে খুঁজতে বসেন দুর্গা পুজো কবে পড়েছে।
সেই নির্ঘণ্ট অনুযায়ী , আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে পুজো শুরু হবে ১৪ ই অক্টোবর , শনিবার , মহালয়ার দিন থেকে। তবে দুঃখের বিষয় পুজোর মধ্যে শনি রবি দুই ছুটির দিন পড়ে গিয়েছে। তবে পুজো অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে পড়ায় গান্ধী বার্থডের সরকারি ছুটি মার যায়নি। আর এত দেরিতে পুজো শুরু হওয়ায় শীত এর সুড়সুড়ি লাগতে পারে গায়ে।
আগামী বছর পঞ্চমী পড়েছে ১৯ অক্টোবরে। সেদিন বৃহস্পতি বার।তবে সপ্তমী – অষ্টমী পড়েছে শনি ও রোববার এ। আর ২৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার পড়েছে বিজয়া দশমী। দুর্গাপূজা না হয় মিটলো, কিন্তু বিজয়ার প্রণাম চলে লক্ষ্মীপূজা অবধি। সেই লক্ষ্মী পূজা পড়েছে ২৮ অক্টোবর, শনিবার। কালী মা পুজো নিতে আসবেন এক রবিবারে , ১২ নভেম্বরে। তারপর ভাইফোঁটা আবার মঙ্গলবার এ পড়েছে।