বাংলাহান্ট ডেস্ক : করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে গত শুক্রবার। উড়িষ্যার বালেশ্বরের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধাক্কা দেয় একটি মাল গাড়িকে। অপর দিক থেকে আসা যশবন্তপুর এক্সপ্রেস সেই সময় একই জায়গায় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। এই দুর্ঘটনার পর সারা পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় কেঁপে উঠেছেন সবাই।
সরকারি মতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় তিনশোর কাছাকাছি যাত্রীর। আহতের সংখ্যাটা প্রায় হাজার। কীভাবে উচ্চগতির এই ট্রেনে দুর্ঘটনা ঘটল সেই নিয়ে উৎসুক সবাই। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি দক্ষিন-পূর্ব রেলের অন্যতম পুরনো একটি ট্রেন হল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ১৯৭৭ সালের ৬ মার্চ প্রথম যাত্রা শুরু করে এই এক্সপ্রেস ট্রেন।
ব্রিটিশ আমলে যে রেল পরিষেবার সূচনা হয়েছিল ভারতে, পরবর্তীকালে ভারতের গণতান্ত্রিক সরকার সেই রেল পরিষেবাকে আরো ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর হয়। এরপর ভারতীয় রেল বিভিন্ন রুটে শুরু করে দ্রুত গতির ট্রেন পরিষেবা। দক্ষিণ-পূর্ব ডিভিশন ভারতীয় রেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিভিশন। আশি-নব্বইয়ের দশকে এই ডিভিশনের জনপ্রিয় দুটি ট্রেনের সূচনা হয়।
একটি রাজধানী ও অপরটি করমণ্ডল। রাজধানী এক্সপ্রেস মূলত উচ্চবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তদের জন্য। তবে সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জন্য একমাত্র ভরসার বাহন হল করমন্ডল এক্সপ্রেস। কীভাবে করমন্ডল নামের উৎপত্তি হল? চোল রাজাদের দাক্ষিণাত্য-এ ছিল শক্তিশালী এক সাম্রাজ্য। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্যের অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে।
চোল রাজারা দক্ষিণ ভারতে নিজেদের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর তার নাম হয় চোলমণ্ডলম। ব্রিটিশরা এই জায়গাটিকে চোলমণ্ডলম এর বদলে করমণ্ডল বলে ডাকতেন। সেখান থেকেই এই উপকূলের নাম হয়ে যায় করমণ্ডল। তাই পরবর্তীকালে কলকাতা থেকে চেন্নাই এর মধ্যে যোগাযোগকারী ট্রেনের নাম রাখা হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস।