দু’টি নয়, তিনটি ট্র্যাক থাকে বাংলাদেশের রেললাইনে! কেন এমন রাখা হয় জানেন?

বাংলাহান্ট ডেস্ক: রেললাইনে ক’টা ট্র্যাক থাকে? ভারতে (India) থাকলে আপনি বলবেন, দু’টি। কিন্তু আপনি যদি বাংলাদেশের বাসিন্দা হন, তাহলে আপনার উত্তর কিন্তু ভিন্ন হবে। কারণ সেখানের রেললাইনে (Railway Track) দু’টির বদলে তিনটি ট্র্যাক দেখতে পাওয়া যায়। বলতে পারবেন, এমনটা কেন রাখা হয়? কেন বাংলাদেশের রেলওয়ে দু’টি নয়, ব্যবহার করে তিনটি ট্র্যাক? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত। 

বাংলাদেশের (Bangladesh) রেললাইনের এমন অদ্ভুত নকশার নেপথ্যের কারণ জানতে হলে প্রথমে একটু ইতিহাস ঘেঁটে দেখা দরকার। যে কোনও রেল ট্র্যাক গেজের হিসেবে তৈরি করা হয়। এই কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেললাইনের মাপ পরিবর্তন হয়। যেমন দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন অনেক সরু ট্র্যাকের উপর দিয়ে চলে। এটি হল ন্যারো গেজ। বাদবাকি সব ট্রেন ব্রড গেজের উপর দিয়ে চলে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যায় লাইনে তিনটি ট্র্যাক রয়েছে। 

bangladesh railways

বাংলাদেশে প্রথম থেকেই মিটার গেজের ট্রেন চলে। বর্তমানে প্রতিবেশী দেশে মোট ২ হাজার ৮৫৫ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে। এর মধ্যে ১৮৩৮ কিলোমিটার রেললাইন মিটার গেজের। অন্যদিকে ৬৮২ কিলোমিটার রেলপথ ব্রডগেজের। তবে বাংলাদেশ সরকার তাদের রেল নেটওয়ার্ককে আরও বিস্তৃত করতে চাইছে। ফলত যখন মিটার গেজ থেকে ব্রড গেজে পরিবর্তন হচ্ছিল, তখন দেখা যায় যে যদি মিটার গেজ লাইনের পরিবর্তন করতে হয় তাহলে রেলকে পুরো পরিকাঠামোগত বদল আনতে হবে।

শুধু লাইনই নয়, রেলের লোকোমোটিভ ও কোচগুলিও পাল্টে ফেলতে হবে। যা একপ্রকার অসম্ভব। সে জন্য এই রেলওয়ে ট্র্যাককে মিক্সড গেজ বা ডুয়াল গেজ ট্র্যাকে পরিণত করা হয়। এর ফলে এই লাইন দিয়ে মিটার গেজ ও ব্রড গেজ দুই ধরণের ট্রেনই যাতায়াত করতে পারে। তাই ভারতে যেখানে রেললাইনের জন্য দু’টি ট্র্যাক রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশে তিনটি ট্র্যাক থাকে রেললাইনে।

ডুয়াল রেলওয়ে ট্র্যাক কাকে বলে? এটি হল এমন একটি ট্র্যাক যেখান দিয়ে দু’টি আলাদা গেজের ট্রেনই যাতায়াত করতে পারে। এই কারণেই ভারত থেকে বাংলাদেশে কোনও ট্রেন গেলে তাদের কোনও অসুবিধাই হয় না। কারণ বাংলাদেশ রেলওয়ে দু’ধরনের গেজই ব্যবহার করে। কিন্তু ভারতে সাধারণত ব্রড গেজ ব্যবহার করা হয়। তাই মৈত্রী এক্সপ্রেস বাংলাদেশে গেলে কোনও অসুবিধার মুখোমুখি হয় না।

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর