বাংলা হান্ট ডেস্ক : টেলিভিশনের পর্দায় একের পর এক বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) ভিড়ে এখন বেড়ে গিয়েছে প্রতিযোগিতা। এক ঝাঁক নতুন সিরিয়ালের (Bengali Serial) ভিড়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে অস্তিত্ব সংকটে প্রায় প্রতিটি মেগা সিরিয়াল (Bengali Serial)। যদিও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী স্টার জলসা এবং জি বাংলার দু’দুটি জনপ্রিয় মেগা। যার মধ্যে অন্যতম স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ এবং জি বাংলার ‘জগদ্ধাত্রী’।
বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) ‘জগদ্ধাত্রী’ আর ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র ইউএসপি কি?
টিআরপির অভাবে যখন অধিকাংশ বাংলা সিরিয়াল ২০০ কি ৩০০ পর্ব দেখিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেখানে মাসের পর মাস রমরমিয়ে চলছে এই দুই মেগা। সদ্য ৮০০ পর্ব পার করে এক নতুন মাইল ফলক ছুঁয়েছে অনুরাগের ছোঁয়া। পিছিয়ে নেই জগদ্ধাত্রীও। সদ্য গিয়েছে এই ধারাবাহিকের দু’বছরের জন্মদিন। সেই সাথে জগদ্ধাত্রী পার করেছে মোট ৭৩৪ পর্ব।
যদিও দীর্ঘদিনের এই সফরে এই দুই মেগা সিরিয়াল বন্ধ হয়ে যাওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছে বহুবার। তবে সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দর্শকমহলে আজও কমেনি এই দুই মেগার জনপ্রিয়তা। কিন্তু প্রশ্ন হল কীভাবে,কীসের জোরে এই দুই মেগা সিরিয়াল টানা দুবছর ধরে এতটা জনপ্রিয়? এ প্রসঙ্গে জানতেই আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালের প্রযোজক পরিচালক স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
জবাবে তিনি সাফ বলেছেন, ‘ধারাবাহিকের নায়িকা জগদ্ধাত্রী অনেক আধুনিক। তথাকথিত নায়িকাসুলভ নয়। আইপিএস অফিসার। বাড়িতে শাড়ি পরে। পেশার দুনিয়ায় প্যান্ট-শার্ট। প্রয়োজনে বন্দুক হাতে নেয়। লড়াই করে অপরাধীর সঙ্গে এবং জিতেও যায়। এই বিষয়, এমন জোরালো নায়িকা ছোট পর্দায় এই প্রথম। স্বাভাবিক ভাবেই দর্শক বসে দেখছেন।’
আরও পড়ুন : ‘গাড়িতে উঠলে রক্ষা নেই’, সবার সামনে প্রসেনজিৎকে নিয়ে এ কি বললেন রচনা?
তাছাড়া ঘটনাবহুল এই সিরিয়ালে সময়ের সাথে ক্যামিও চরিত্রে এন্ট্রি নিয়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়,ইন্দ্রাণী দত্ত-সহ আরও জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রী। এঁদের আকর্ষণও অগ্রাহ্য করতে পারেননি দর্শক। তবে জগদ্ধাত্রীর এই সাফল্যের জন্য চ্যালেন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ধৈর্য ধরে ভরসা করতে পারলে সকলেই নিজেকে প্রমাণ করতে পারে।’
দর্শকদের কাছে অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালের প্রধান নায়িকা দীপা অর্থাৎ অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষ। পুজোর আগে শুটিং ফ্লোরের তুমুল ব্যস্ততার ফাঁকেই এই সাফল্য প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন এখনকার দিনে কোনও অভিনেত্রী নন, ধারাবাহিকের বিষয়ই হল আসল নায়িকা। তাঁদের সিরিয়ালের ঘরোয়া গল্পই তাঁদের ইউএসপি।
তাই প্রথম থেকেই এই ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা সূর্য-দীপার ভাল-তে দর্শক খুশি, আর মন্দ-তে মনখারাপ। স্বস্তিকার কথায়, ‘একই সঙ্গে দীপা মানে আমি যথেষ্ট লড়াকু। কখনও পরিস্থিতির সঙ্গে লড়েছি। কখনও নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে। এখন যেমন বন্যার বিরুদ্ধে লড়ছি। বানভাসি মেয়ে রূপাকে আমার থেকে আলাদা করে দিয়েছে।’