বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জৈন সম্প্রদায়ের কাছে একটি বিশেষ বড় উৎসব হল মহাবীর জয়ন্তী (mahavir jayanti)। মূলত মহাবীরের জন্মদিন হিসাবেই পালিত হয় এইদিন। মহাবীর ছিলেন জৈন ধর্মের সর্বশেষ ও ২৪ তম তীর্থঙ্কর। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই তিনি যাবতীয় পার্থিব মায়া ত্যাগ করে গৃহত্যাগী হয়েছিলেন।
জৈন ধর্মাবলম্বীরা মহাবীরকে শান্তির দূত হিসাবে মনে করেন। হিংসা এবং এই অশান্তির জগতে ধর্মের মাধ্যমে প্রেম, অহিংসার বাণী প্রচার করেছেন মহাবীর। তাঁর জীবদশায় ও তাঁর মৃত্যুর পর মহাবীরের শিষ্যরা তাঁর বাণী সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছে। লোভ ত্যাগ করে সততা ও সাধারণ জীবনযাত্রা পালন করার বিষয়ে আমরা মহাবীরের ধর্ম থেকে জানতে পারা যায়। জীব হত্যারও বিরোধী ছিলেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, ভারতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বৃত্তিদানের প্রথা জৈনরাই চালু করেছিলেন। জীবন যাপনের ক্ষেত্রে সত্য, চুরি না করা, অহিংসা, ইন্দ্রিয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং সংসারে অনাসক্তি – এই ৫ ব্রত পালনের শিক্ষা দিয়ে গেছেন মহাবীর।
এবছর এই দিনটি পড়েছে ২৫ শে এপ্রিল। তবে গতবছর সম্পূর্ণ লকডাউন থাকায় অনাড়ম্বরপূর্ণ ভাবেই এই দিনটি পালিত হয়েছিল। তবে এবছরও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মাথা চাড়া দেওয়ায়, এবারও বেশি জমায়েত না করেই অনাড়ম্বরপূর্ণ ভাবেই পালিত হবে এই দিন।