পড়ে গিয়েছে ঢাকে কাঠি, মহালয়ার পুণ্য তিথিতে রইল রামায়ণ থেকে পুরাণ বর্ণিত নানা কাহিনী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে, চারিদিকে উৎসবের আমেজ। মহালয়া (mahalaya) আসতেই পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে, শুরু হয় মাতৃপক্ষের। এদিনই করা হয় মায়ের চক্ষুদান। আক্ষরিক অর্থে এদিন থেকেই দুর্গাপুজোর শুভ সূচনা হয়।

বছরভোর এই ৫ টি দিনের জন্য অপেক্ষা করে বাঙালিরা। পুজোর ৫ টা দিন সব দুঃখ কষ্ট ভুলে, আনন্দে মেতে ওঠেন সকলেই। আর মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে যায় সেই আনন্দ উৎসবের। পুরাণ অনুসারে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর অমর হয়ে অকথ্য অত্যাচার চালাতে শুরু করে সর্বত্র। তিনি শুধুমাত্র নারী শক্তির কাছে পরাজিত হওয়ার বর পাওয়ায়, সেই সময় ত্রিশক্তি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির সৃষ্টি করেন। আর তখনই মা দুর্গা বধ করেন মহিষাসুরকে। বিনাশ হয় অশুভ শক্তির।

image 233407

মহালয়ার শুভক্ষণঃ ৬ ই অক্টোবর (১৯ শে আশ্বিন), বুধবার।

বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুসারেঃ অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে ৫ ই সেপ্টেম্বর (১৮ ই আশ্বিন) মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা বেজে ৬ মিনিটে এবং থাকবে ৬ ই সেপ্টেম্বর (১৯ শে আশ্বিন) বিকেল ৪ টা বেজে ৩৫ মিনিট পর্যন্ত।

গুপ্ত প্রেস অনুসারেঃ অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে ৫ ই সেপ্টেম্বর (১৮ ই আশ্বিন) মঙ্গলবার সন্ধ্যে ৬ টা বেজে ৩২ মিনিটে এবং থাকছে ৬ ই সেপ্টেম্বর (১৯ শে আশ্বিন) বিকেল ৫ টা বেজে ১০ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড পর্যন্ত।

Durga Puja.jpg

তবে শাস্ত্রমতে এই মহালয়া নিয়ে নানা কাহিনী বর্ণিত রয়েছে। দেখে নিন-

রামায়ণ অনুসারেঃ মা সীতাকে দশানন রাবণের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য শ্রী রামচন্দ্র অকাল বোধন করেছিলেন। সেই সময় নিয়মানুসারে দেবী দুর্গার পুজোর আগে তাঁকেও তর্পণ করতে হয়েছিল। সেই থেকেই মহালয়ার দিন তর্পণ করার রীতি চালু হয়।

Webp.net resizeimage 663

পুরাণ অনুসারেঃ মহালয়ার দিন শ্রাদ্ধ শান্তি ও তর্পণ করলে পূর্ব পুরুষেরা খুশি হয়ে আশীর্বাদ প্রদান করলে জীবনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর