বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুরনো বছর সংকটের মধ্যে কাটলেও, নতুন বছরের শুরু থেকেই মানুষ সংকট মুক্তির আশা করবে। চৈত্রের শেষের দিকে রাজ্যে সেভাবে বৃষ্টি না হলেও, নতুন বছরের শুরুতেই কিন্তু আগাম ঝড় বৃষ্টির কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর (Weather office)। আজ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ, আবছা রোদ বিরাজমান। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই আবহাওয়া বিরাজ করছে। তাপমাত্রার পারদ চরলেও, সূর্যের রোদের পারদ কিন্তু চরছে না। এর মধ্যেই আবার আসতে পারে ঘোর বর্ষা।
ইংরেজি নববর্ষ শুরুর আগেই মানুষ এক অজানা আতঙ্কে ভুগছিল। আর এখন সেই আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস (COVID-19)। এই ভাইরাসের জেরে বিশ্ব এখন আতঙ্কিত। সকলেই এর থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে তাপমাত্রার ব্যাপকহারে বৃদ্ধিই পারে এই ভাইরাসের জীবাণু ধবংস করতে। তাই বর্তমানে তাপমাত্রা বাড়লেও কিন্তু তার পাশাপাশি ঝড় বৃষ্টিরও আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামি সপ্তাহে রাঁচি সহ সংলগ্ন অঞ্চলগুলি ১৪ এবং ১৫ ই এপ্রিল আংশিকভাবে মেঘলা থাকবে। এছাড়াও ১৪ এবং ১৫ ই এপ্রিল রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় বজ্র বিদ্যুতের সাথে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমের জেলা গুলিতেও। অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমের উপর বিচ্ছিন্ন তুষারপাত হতে পারে। আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিসগড়, তামিলনাড়ু এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জগুলিতে বিচ্ছিন্ন বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে ।
গতকাল শহর কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রির আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। তবে আজ তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। সারাটাদিন আবছা রোদ বিরাজ করবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এর পাশাপাশি দমকা বাতাস বইতে পারে। বৃষ্টিপাত, তুষারপাত এবং বজ্রপাতসহ বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
আবার, আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, এবছর গরম বাড়বে। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বৃদ্ধি পাবে কিছু কিছু অঞ্চলে। আবার কিছু কিছু জায়গায় ১ ডিগ্রির থেকেও বেশি বৃদ্ধি পাবে। তবে তাপমাত্রার পারদ ওঠা নামা করবে। যার দরুণ তাপমাত্রা বাড়বে , আবার কমবেও। একটানা বেশি গরম পড়বে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকবে।