বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মা কালী (Ma kali), জীবনের সবক্ষেত্রে তাঁর ভক্তদের পাশে থাকেন। তাঁকে সাহায্য করেন। ভক্তের যে কোন পরিস্থতিতে মা তারা তাঁর সহায় হন। সমস্ত শক্তির উৎস তিনি। প্রতি বছর ভূত চতুর্দশীর পরদিন দীপান্বিতা অমাবস্যাতে মা কালীর পুজো (kali puja) করা হয়।
কালী ঠাকুর হলেন একজন হিন্দু দেবী। তার অন্য নাম শ্যামা বা আদ্যাশক্তি বা মা তারা। বাঙালি হিন্দু সমাজে কালী ঠাকুর বা তারা মায়ের পূজা খুবই ধুমধাম করে করা হয়। তারা মা হলেন হিন্দু দেবী কালীর একটি বিশিষ্ট রূপ। ইনি হলেন দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। মা কালী স্বয়ং শক্তির রূপ তাই তাঁকে শক্তি রূপিনী দেবী বলা হয়।
এবছর নভেম্বর মাসে অর্থাৎ বাংলার কার্তিক মাসে যে অমাবস্য়া তিথিতে কালী পুজো হতে চলেছে, সেই তিথি পড়েছে- ৪ ঠা নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা বেজে ৩ মিনিটে শুরু হয়ে পরদিন অর্থাৎ ৫ ই অক্টোবর শুক্রবার দুপুর ২ টা বেজে ৪৪ মিনিট অবধি থাকছে।
‘এষ দীপ ওম ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ।’ এবং ‘এষ ধুপঃ ওঁ ক্রীং কাল্ল্যৈ নমঃ।’– মা কালীর প্রদীপ প্রদান এবং ধূপকাঠি প্রদানের মন্ত্র। হিন্দু দেব দেবীদের মধ্যে অন্যতম প্রধান একজন দেবী হলেন মা কালী।
মা কালীর পূজার সময় বেশ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। যেমন, মা কালী জবা ফুল খুব পছন্দ করেন। তাই তাঁর পূজায় জবা ফুল রাখা বাঞ্ছনীয়। অমাবস্যায় মা কালীর পূজা করা হয়। মনের সব কালো অন্ধকার দূর করে, পজেটিভ শক্তির উন্মেষ ঘটায় মা।
মা কালীর বিভিন্ন রূপের মধ্যে বাঙালি হিন্দু সমাজে বিশেষত কালীর মাতৃরূপের পূজা বিশেষ জনপ্রিয়। পুরাণ ও তন্ত্র সাহিত্য অনুসারে মা কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, শ্মশানকালী, মহাকালী, রক্ষাকালী,কৃষ্ণকালী ইত্যাদি হল মা কালীর বিভিন্ন রূপ।