বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ বিজয়া দশমী। মায়ের বিদায়ের পালা। সকলেরই মন ভার ঠিকই তবে ওই একটাই সান্ত্বনা, আসছে বছর আবার হবে। গোটা বছর ধরে পুজোর চার-পাঁচটা দিনের অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। সমস্ত দুঃখ-কষ্ট ঝেড়ে ফেলে হই হই করে কাটান সকলে। খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, ঘুরু-ঘুরু সবটাই চুটিয়ে হয়। আসলে শারদোৎসব মানেই মিলনোৎসব।
তবে শারদোৎসব মানে শুধুই যে মিলনের উৎসব তেমনটা কিন্তু নয়। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো বাংলার বাণিজ্যেও (Trade) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লক্ষীপুজোর আগেই দুর্গাপুজোয় লক্ষ্মী আসে বাংলার ঘরে। উপচে পড়ে রাজ্যের (West Bengal) কোষাগার।
দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় হয়। কর্পোরেট হাউসের পাশাপাশি অন্যান্য মাঝারি, ছোটখাটো দেশীয় সংস্থা মিলিয়ে রাজ্যে পুজোর পিছনে যা বিনিয়োগ হয় সেই পরিসংখ্যান শুনলে আপনার মাথা ঘুরে যাবে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে কালীঘাটের কাকু মামলায় এবার SSKM হাসপাতালকে চিঠি দিল ED, তুঙ্গে শোরগোল
২০২২ সালে দুর্গাপুজোকে ঘিরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছিল বলে জানা যায়। আর এ বার সেই রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে, আশঙ্কা এমনটাই। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ২০২৩ এ পুজোয় ব্যবসা হতে পারে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার।
কম করে ৩-৪ লক্ষ মানুষ পুজো উপলক্ষে বাড়তি আয় করে থাকেন বলে সূত্রের খবর। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিবছরই পুজো উপলক্ষে খরচ বাড়ছে। পাশাপাশি এই বছর বাইরে থেকে আসা পর্যটকের সংখ্যাটা ৫ লক্ষের গন্ডি ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।